মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রাক্তন BJP সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ ৭ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস

মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ সাত অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করল NIA বিশেষ আদালত।

July 31, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪২: মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ সাত অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করল NIA বিশেষ আদালত। বিচারপতি জানান, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগোনো যায় না। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ দিতে পারেনি সরকার পক্ষ।

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮, মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁওয়ের সংখ্যালঘু প্রধান ভিকু চক বাইক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। মৃত্যু হয় ৬ জনের। আহত ১০১ জন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এই মামলার সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে। তারপর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিশেষ বিচারক এ কে লাহোতি। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা, প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) রমেশ উপাদ্যায়, সুধাকর চতুর্বেদী, অজয় রাহিরকর ও সুধকর ধর দ্বিবেদীরও।

আদালত সূত্রে খবর, ২০০৮ সালে বিস্ফোরণের পর প্রথমে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের হয়। তদন্তভার নেয় অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। ২০০৩ সালে প্রজ্ঞা, পুরোহিত সহ ১৬ জনের নামে চার্জশিট দায়ের হয়। তদন্তে জানা যায়, বিস্ফোরণের জন্য একটি এলএমএল ফ্রিডম মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর বদলে ফেলা হয়েছিল। ফরেন্সিক বিশ্লেষণে গাড়িটির প্রকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর মেলে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গাড়িটি গুজরাতের এবং তা প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের। ২০০৮ সালে ২৩ অক্টোবরে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। এটিএস আদালতে জানায়, পুরোহিত কাশ্মীর থেকে আরডিএক্স কিনে মহারাষ্ট্রে নিজের বাড়িতে সেগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। দেওলালি আর্মি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বোমা তৈরি করেন সুধাকর। অন্য তিন অভিযুক্ত মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে রেখে এসেছিল। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতেই সংখ্যালঘু প্রধান ওই স্থানে গাড়িটি রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২০১১ সালে মামলাটি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যায়। এরপরই এটিএসের তদন্তের একাধিক বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় বেশ কিছু ধারা বাদ দেয় এনআইএ। ২০১৮ সাল থেকে সওয়াল-জবাব শুরু হয়। সবমিলিয়ে ৩২৩ জন সাক্ষীর তালিকা তৈরি হয়। যদিও এরমধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৯ জন হাজিরার দেননি। ২৮২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। শুনানি শেষ হয় চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল। আজ রায় ঘোষণা হল এবং অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে গেলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen