এবিভিপির মঞ্চে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার! মোদী আমলে নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন

দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেল।

April 15, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

অবশেষে ঝুলি থেকে বেরোলো বিড়াল! তাও আবার যে সে বিড়াল নয়, একেবারে রুমাল থেকে বিড়াল হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার ঘটল। দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেল।

মোদী আমলে সরকারি আধিকারিকদের থেকে নিরপেক্ষতা আশা করা কার্যত কাঁঠালের আমসত্ত্ব! সুনীল আরোরা দেশের অন্যতম দায়িত্বশীল পদ আসীন ছিলেন দীর্ঘকাল। নির্বাচন আয়োজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা সুনীলের বিরুদ্ধে বিজেপির অনুকূলে করা, একাধিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সুনীল আরোরার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছে। এমনকি নির্বাচনে বিজেপির কারচুপিতেও তার মদত ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ সুনীলের বিরুদ্ধে এতদিন যাবৎ উঠে এসেছে, আজ তা কার্যত সত্য প্রমাণিত হল। দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে বিজেপি তথা আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেল। এই নিয়ে নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়াছেন না।

প্রসঙ্গত, বিজেপির শাসনকালে এ জিনিস আগেও দেখা গিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বিতর্কিত বাবরি মামলার রায়দানের পরেই বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন। আরেক প্রধান বিচারপতি বোবদেকে বিজেপি নেতার ছেলের হার্লে ডেভিডসন বাইক চালাতে দেখা যায়। বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের পোষা তোতাপাখির মতো ব্যবহার করে বিজেপি, অর্থ্যাৎ এর থেকেই প্রমাণিত হয়, মোদী জমানায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর প্রধানেরা কার্যত পুতুলে পরিণত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ, সেই স্তম্ভের ধারক বাহক অর্থাৎ মুখ্যনির্বাচন কমিশনার যদি কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেন, তবে তা গণতান্ত্রের জন্য অশনি সংকেত ডেকে আনে।

প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের এহেন আচরণ বিজেপির নির্বাচনের জয়লাভকে বিরাট বড় প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিল। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আর জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার, দুটি কখনওই এক নয়। সরকারি আধিকারিকদের কখনওই একটি রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বিজেপি তা করে এবং সুনীল আরোরা বিজেপির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে ভারতের সংবিধানের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen