১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ : চিকিৎসক থেকে জঙ্গি? দিল্লি-ফরিদাবাদ মডিউলের নেপথ্যে এক প্রাক্তন ইমাম!

November 11, 2025 | < 1 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০৬: মানুষের প্রাণ বাঁচানোই যাঁদের কাজ, সেই ডাক্তারদেরই নাম জড়াচ্ছে প্রাণঘাতী জঙ্গি ষড়যন্ত্রে। হরিয়ানার ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা এবং দিল্লির আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার মধ্যে যোগ এখন তদন্তে প্রায় নিশ্চিত।

এই দুই ঘটনার সূত্রে গত তিন দিনে উঠে এসেছে একাধিক চিকিৎসকের নাম। তাঁরা হলেন, ডাঃ আদিল আহমেদ রাথের, ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল, ডাঃ শাহিনা শাহিদ, ডাঃ উমর নবি ভাট ও ডাঃ সাজাদ আহমেদ মালা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিনজন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, ডাক্তারদের এই চরমপন্থী পথে টেনে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন শ্রীনগরের এক প্রাক্তন ইমাম। জানা গেছে, ওই ইমাম-মৌলবি ইরফান- একসময় শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) (জিএমসি)-এ প্যারামেডিক্যাল কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ছাত্রজীবনেই তিনি কয়েকজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন এবং ধর্মীয় প্রচারের আড়ালে তাদের মধ্যে মৌলবাদী চিন্তাধারা ছড়িয়ে দেন।

তদন্তে দেখা যাচ্ছে, যেসব চিকিৎসকের নাম এই জঙ্গি মডিউলে উঠে এসেছে, তাঁদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং সবাই জিএমসি (GMC) শ্রীনগরের প্রাক্তন ছাত্র। পরে তাঁদের একাংশ হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত বা অধ্যয়নরত ছিলেন।

সূত্রের দাবি, ফরিদাবাদ নয়, এই জঙ্গি চক্রের বীজ রোপণ হয়েছিল জিএমসি শ্রীনগরেই। সেখানেই মৌলবি ইরফান এবং তাঁর দুই সহযোগী শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেন। পরবর্তী সময়ে তারা দিল্লি (Delhi) ও ফরিদাবাদ অঞ্চলে সক্রিয় হয় এবং একাধিক বিস্ফোরণ পরিকল্পনায় যুক্ত হয় বলে সন্দেহ।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ইরফান এবং তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে জৈশ-ই-মহম্মদের যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্র ধরেই ফরিদাবাদ-দিল্লি মডিউল গড়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁদের জেরা চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen