ডিলারের কাছ থেকে পাইপ না কিনলে গ্যাস বন্ধ! ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রান্নার গ্যাসে ‘সুরক্ষা হোস’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:২৫: রান্নার গ্যাস পেতে এখন নতুন হয়রানি। অভিযোগ উঠেছে, ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পাইপ না কিনলে সিলিন্ডার ডেলিভারি আটকে দিচ্ছেন গ্যাস ডিলাররা। অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, বুকিং করার পরও সিলিন্ডার পাননি। যোগাযোগ করলে জানানো হয়েছে, ডিলারের কাছ থেকে ‘সেফটি হোস’ কিনতে হবে, না হলে গ্যাস মিলবে না।
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রান্নার গ্যাসে ‘সুরক্ষা হোস’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এটি তৈরি করে রাষ্ট্রায়ত্ত এলপিজি ইক্যুইপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার এবং এর পেটেন্টও তাদের। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পাইপ বদলাতে হবে এবং ডিস্ট্রিবিউটরের অনুমোদিত কর্মীর মাধ্যমে সেফটি চেক করাতে হবে।
কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, বাজারে একই মানের পাইপ ১০০ টাকায় পাওয়া গেলেও ডিলারের কাছ থেকে ১৮০ টাকা (জিএসটি-সহ) দিয়ে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকের মতে, ‘‘এটা নিরাপত্তার অজুহাতে চাপানো বাড়তি বোঝা।’’
ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন অবশ্য স্বীকার করেছে, সমস্যার একটা দিক রয়েছে। সংস্থার বক্তব্য, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি ডিস্ট্রিবিউটরদের পাইপ বিক্রির টার্গেট বেঁধে দিয়েছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ডেলিভারি আটকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে তারা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে পাইপের উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার। তাতে গ্রাহকের কিছুটা সুরাহা হবে।
প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, সুরক্ষার অজুহাতে পাইপ কেনার জন্য গ্যাস বন্ধ করা কি ন্যায্য? বাজারে কম দামে একই মানের পাইপ পাওয়া গেলে গ্রাহক কেন বেশি টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হবেন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এলপিজি ব্যবহারকারীদের মধ্যে।