আলাস্কায় বহু আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষে সদর্থক বার্তা দু’পক্ষের, পরবর্তী বৈঠক মস্কোয়
ভারতীয় সময় ভোররাডে শেষ হয়েছে বহু আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক। বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা (Alaska) অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: ভারতীয় সময় ভোররাডে শেষ হয়েছে বহু আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক। বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা (Alaska) অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরে। সেখানেই অবস্থিত আমেরিকার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটি।
দু-তরফই বৈঠকটিকে আগাম ঐতিহাসিক দাবি করেছিল। দু’পক্ষই বৈঠক শেষে দাবি করেছে, আলোচনা অনেকটাই সফল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ( Russian President Vladimir Putin) বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে আরও আলোচনা দরকার। তাই অল্পদিনের মধ্যেই তাঁরা ফের বৈঠকে বসনেন। সেই বৈঠক হতে পারে মস্কোয়।
৬৪ হাজার একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ওই সামরিক ঘাঁটিতেই শুক্রবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময়) মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন ট্রাম্প-পুতিন। প্রায় পাঁচ বছর পরে মুখোমুখি বৈঠক করলেন তাঁরা। পুতিনকে স্বাগত জানাতেই মার্কিন বায়ুসেনার দুই আধুনিক যুদ্ধবিমানের স্মারক-উড়ানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরতির বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পরে জানিয়ে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। যদিও ট্রাম্পের দাবি, বৈঠক ‘ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক’ হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বাকিটা হবে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত এবং ইউরোপিয় দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার পর। তাদের রাজি করানোর কাজটা আমি চালিয়ে যাব।
অন্যদিকে, পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় সায় দিয়েও খানিক শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন, কিছু ভুল স্বীকার করতে হবে। তিনি বলতে চেয়েছেন, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে হবে।
জবাবে ট্রাম্প জানান, তিনি এই বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁর কথায় যুদ্ধ বন্ধ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ইউক্রেন ও তার মিত্রদের উপর। বলেন, এই কারণেই বৈঠকে আমরা চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগতে পারলাম না। তবে অনেকটাই অগ্রগতি হল।
সেই কথায় সায় দিয়ে পুতিন বলেন, যুদ্ধ বন্ধে তাঁর দেশ খুবই আন্তরিক। তবে কিছু বিষয়ের মীমাংসা হওয়া দরকার। এই যুদ্ধকে ‘ট্রাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যুদ্ধ তখনই বন্ধ হওয়া সম্ভব যখন কারণ গুলি বিশ্লেষণ করে সেগুলির জন্য দায়ীরা দায় স্বীকার করবেন। স্পষ্টতই ইউক্রেনের উপর দায় চাপিয়েছেন পুতিন।