গাজায় হামলার পরিকল্পনা হামাসের! গোপন রিপোর্ট আমেরিকার হাতে, কী বলছেন ট্রাম্প?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২.৩০: হামাস (Hamas) এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রিপোর্ট (US state department secret report) নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্যালেস্টাইনের সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত আক্রমণ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সরাসরি লঙ্ঘন করবে। মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে নষ্ট করবে।’ হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যদি হামাস এই আক্রমণ চালিয়ে যায়, তাহলে গাজার জনগণ এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যদিও বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি হামাস আক্রমণের পাল্টা কী ব্যবস্থা নেবে আমেরিকা।
যুদ্ধবিরতির পরই ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে। অন্যদিকে, গাজার (Gaza) নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে তৎপর হামাস। আমেরিকার দাবি, খুব শীঘ্রই গাজার সাধারণ মানুষের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে হামাস। হামাস হামলা চালালে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হবে। প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধবিরতি কি কেবল কৌশল ছিল? গোটা বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে যুদ্ধবিরতিকে ঢাল করেছিল হামাস।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষের উপরে আক্রমণের ছক কষে ফেলেছে হামাস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস খুব শীঘ্রই গাজার সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাবে। আমেরিকার কাছে তার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।
আমেরিকা হামাসকে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছে, চুক্তি লঙ্ঘন হলে তার ফল ভুগতে হবে। মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি পালন করতে হবে। অন্যথা হলে, ফল ভুগতে হবে হামাসকে। তা সুখকর হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা গাজায় সেনা পাঠাবে না।ট্রাম্প জানান, তারা (আমেরিকা) সেনা পাঠাবে না। তার দরকারও নেই। কাছাকাছি অনেকেই আছে, যারা আমেরিকার নজরদারিতে কাজটা খুব সহজেই করে দেবে। সরাসরি ইজরায়েলের নাম না নিলেও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত সেদিকেই ছিল।
শান্তি চুক্তি হওয়ার পরও ১৫ অক্টোবর গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল হামাস। বেধড়ক মারধরের পরে চোখ বেঁধে রাস্তায় গুলি করে মারা হয়েছিল তাদের।
এই ঘটনার আগের দিন ট্রাম্প হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘অস্ত্র ছাড়ুন। না হলে আমরা জানি কী ভাবে ছাড়াতে হয়।’’ সেই নির্দেশকে পাত্তা না-দিয়ে হামাস হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সোমবার মিশরের শর্ম-আল-শেখ শহরের অনুষ্ঠিত হয় গাজা শান্তি সম্মেলন। সভাপতিত্ব করে আমরিকা ও মিশর। উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা-সহ ২০ টির বেশি দেশের নেতারা। সম্মেলনে উভয়পক্ষের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপরেও এই রিপোর্ট নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল।