Haridevpur Shootout: সাড়ে তিন ঘণ্টায় কিনারা! গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১৪:১০: সোমবার সাতসকালে গুলি চলে কলকাতার হরিদেবপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মহিলা। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দুই যুবক বাইক চড়ে এসে পিছন দিক থেকে ওই মহিলাকে গুলি করে পালায়। মহিলার পিঠে গুলি লাগে। প্রথমে এমআর বাঙুর এবং পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মহিলাকে। এই ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই কিনারা হয়ে যায়। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি-না, তদন্ত চালাচ্ছে হরিদেবপুর পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে গুলি চলেছিল। অভিযুক্তের নাম বাবলু ঘোষ। বাবলু ঘোষ মাংস ব্যবসায়ী। যে বন্দুক থেকে গুলি চলেছিল, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কীভাবে অভিযুক্ত এই বন্দুক পেলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনাস্থল গার্ড রেল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই বাবলু পালানোর চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ওই মহিলার প্রতিবেশী। প্রায় চার বছর ধরে দুজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আক্রান্ত মহিলার নাম মৌসুমী হালদার। ৩৮ বছর বয়সি মৌসুমীর পুত্র সন্তানও রয়েছে। বছর ত্রিশের বাবলুর স্ত্রী ৫ বছর আগে মারা গিয়েছে। তাঁর কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা যাচ্ছে, মৌসুমী এবং বাবলু নাকি গোপনে বিয়েও সেরেছেন। তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতেন মৌসুমী। মনে করা হচ্ছে, প্রতিশোধ নিতে মৌসুমীকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক কষেছিলেন বাবলু।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সোমবার মৌসুমী হালদার প্রাতঃভ্রমণ করছিলেন। হরিদেবপুরের কালীপদ মুখার্জী রোডে ভোরে কালো জ্যাকেট ও হেলমেট পরে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তারপর বন্দুক বের করে অভিযুক্ত বাবলু। পালানোর চেষ্টা করেন মৌসুমী। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন, পালিয়ে যায় বাবলু।