গোপালগঞ্জ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশে জনযুদ্ধের ডাক দিলেন হাসিনা

গোপালগঞ্জ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশে জনযুদ্ধের ডাক (People’s War) দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা

July 17, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১৫: বুধবার বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর (Gopalganj killing by Bangladesh army) গুলিতে সাত ছাত্র লিগ ও আওয়ামী লিগ কর্মীর মৃত্যুর (seven Awami League supporters killed in indiscriminate firing by army) ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিল মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। যদিও বিবৃতিতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যাওয়ার বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি। দুঃখ প্রকাশ তো দূরের কথা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এরফলে এনসিপির নেতা কর্মীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এবং তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশে জনযুদ্ধের ডাক (People’s War) দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । বুধবার গভীর রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, যার যা আছে, তাই নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১-এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই ভাষাতেই দেশবাসীকে পাক সেনার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীকে দেশছাড়া করা ডাক দিয়েছিলেন়। ঘটনাচক্রে বঙ্গবন্ধুও সেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৫ মার্চের মাঝরাতে তথা ২৬-এর প্রথম প্রহরে।

হাসিনা মাঝরাতে ভিডিও বার্তায় একই ডাক দিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস সরকারকে উৎখাত করতে। তিনি বিশ্ববাসীর উদ্দেশেও আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশের দিকে নজর দিতে। বলেছেন, কীভাবে ইউনুস সরকার মানুষের রাজনৈতির অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার হরণ করছে বিশ্ববাসীর তাতে প্রতিবাদ করা উচিত।

বাংলাদেশে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ কলকাতায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখন দেশে ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইনের শাসন একেবারের মুছে গিয়েছে। জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। পরিস্থিতি প্রতিমুহূর্তে খারাপ হচ্ছে।” প্রাক্তন মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, আসলে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার তৈরি করার কোনও সদিচ্ছা নেই এই অন্তর্বর্তী সরকারের। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই তারা একাধিক সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস যে করেই হোক ক্ষমতা ধরে রাখতে চান। সে জন্যই তো জুলাই সনদের নাম করে একটা জোরজুলুম পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এটা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen