মাথার দাম এক কোটি, চার দশক পর আত্মসমর্পণ কিষেণজির স্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯.৪২: তেলঙ্গানায় আত্মসমর্পণ করলেন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রয়াত মাওবাদী নেতা কিষেণজির স্ত্রী পথৌলা পদ্মাবতী, যিনি সুজাতা ও কল্পনা নামেও পরিচিত। ১৯৮২ সাল থেকে যাঁকে খুঁজছিল পুলিশ, তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। শনিবার তেলঙ্গানা পুলিশের ডিজিপি জিতেন্দ্রর উপস্থিতিতে পদ্মাবতী আত্মসমর্পণ করেন।
দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া পদ্মাবতী মাওবাদী আন্দোলনে যুক্ত হন আত্মীয়দের প্রভাবে। পরে কিষেণজির সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয় এবং দু’জনেই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসেন। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের বুড়িশোল জঙ্গলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন কিষেণজি, যিনি সিপিআই (মাওবাদী)-র পলিটব্যুরো সদস্য ও কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের ইনচার্জ ছিলেন।
পদ্মাবতী দীর্ঘদিন ধরে ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা ও ওড়িশায় সক্রিয় ছিলেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেক্রেটারি হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন পদ্মাবতী।
তেলঙ্গানা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪০৪ জন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন। পদ্মাবতীর পাশে দাঁড়িয়ে ডিজিপি বার্তা দিয়েছেন, “অস্ত্র নামিয়ে রাখুন, গ্রামে ফিরে আসুন, রাজ্যের উন্নয়নে অংশ নিন।”
উল্লেখ্য, এর আগে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা মহারাষ্ট্রে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি, যিনি সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, তিনিও আত্মসমর্পণ করেন। গঢ়ছিরৌলিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ জন কমরেডের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা, যিনি পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি (PLGA)-র কমান্ডার ও দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী ছিলেন।