কালী পুজোয় থিমের মাতামাতি, কার্যত জনগর্জন শোনা গেল হাওড়া ও হুগলির জনপদগুলিতে

November 2, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কালী পুজোয় শুধু আলোর রোশনাই বা রাত জেগে পুজো নয়, রীতিমতো ‘থিম’ পুজোয় মেতেছে হুগলির ক্লাবগুলো। আর তাতেই জনস্রোতে ভেসে গেল পথঘাট। পুজোর শেষপর্বের আনন্দ দু’হাতে লুটে নিতে গঙ্গাপাড়ের দুই জনপদ, হাওড়া ও হুগলির মানুষ নামলেন পথে।

শুক্রবার রাতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। কার্যত জনগর্জন শোনা গেল হাওড়া ও হুগলির জনপদগুলিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার ছোটখাট, মাঝারি পুজোগুলি ঘিরেও সুবেশ জনতা। হুগলির পাণ্ডুয়া ও বেগমপুরে মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো। শ্রীরামপুর, বলাগড় ও হাওড়ার কিছু এলাকায় একই ছবি। হাওড়াতে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করতে হয়। মহিলাদের নিরাপত্তায় ছিল উইনার্স টিম।

জেলাজুড়ে একাধিক থিমের কালীপুজো হচ্ছে। সে সব মণ্ডপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি গাড়ি বা ট্রেনে করে পাণ্ডুয়া ও বেগমপুরে যাওয়ার ঝোঁকও দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই পাণ্ডুয়া ও বেগমপুরের পথঘাট কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে। তা মূলত স্থানীয় মানুষের ভিড়। তারপর রাত যত বেড়েছে ভিন এলাকার মানুষদের সমাগম বাড়তে থাকে দুই নগরীতেই।

গভীর রাত পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছেন দর্শনার্থীরা। ফলে উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি। ফাস্ট ফুডের ব্যবসায়ীদেরও মুখের হাসি সময়ের সঙ্গে চওড়া হয়েছে। নিখিল দাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাণ্ডুয়াতে ভিড় হবে ভেবে দোকান নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু যা ভেবেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি ভিড় পেলাম।’

চণ্ডীতলার বেগমপুরের পুজো উদ্যোক্তা বুবাই বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমাদের মণ্ডপে বারানসীর আরতি ঘাট এবং জীবন্ত আরতি দেখতে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। স্থানীয়দের পাশাপাশি শ্রীরামপুর থেকেও প্রচুর মানুষ এসেছিলেন।’ অনেক পুজো উদ্যোক্তার দাবি, বৃহস্পতিবার মন্দিরগুলিতে পুজো দেওয়ার বিষয় ছিল। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার অনেক মণ্ডপ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে শুক্রবার দ্বিগুণ মানুষ পথে নেমেছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen