বড়কালী মায়ের পুজোয় উপচে পড়ল ভিড়, বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, বাংলাদশ থেকেও পুণ্যার্থীরা আসছেন
ভোর রাত থেকে বড়কালী মায়ের পুজো শুরু হয়। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান থেকেও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ধূপগুড়ির বড়কালী মায়ের বাৎসরিক পুজো উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপচে পড়ল ভিড়। এক হাজারের উপর পাঁঠা এবং চার হাজারের কাছাকাছি পায়রা উৎসর্গ করা হয়। ভোর রাত থেকে বড়কালী মায়ের পুজো শুরু হয়। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান থেকেও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান।
পুজো আয়োজকদের দাবি, এখানে ভক্তিভরে মায়ের কাছে কিছু চাইলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবেই। তাই সকলে এখানকার কালীমাতাকে খুব জাগ্রত বলে মনে করেন। এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে কিছু কথিত কাহিনী। কী সেই কাহিনী? পুজো কমিটির সম্পাদক নরেশচন্দ্র রায় বলেন, মন্দিরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা সোনাখালি পর্যন্ত গিয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি পাকা হলেও একসময় জঙ্গলে ঘেরা ছিল। কথিত আছে দেবতারা যাতায়াত করার জন্য রাতারাতি রাস্তা তৈরি করেছিলেন। রাস্তার নাম দেওয়া হয়েছিল দেওমালী। এই রাস্তা দিয়েই কালী মা এই মন্দিরে আসতেন। একটা সময় কার্তিক মাসে কালীপুজোর রাতেই পুজো হতো। কিন্তু বহুকাল আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির একমাত্র ছেলে হারিয়ে যায়। তিনি কালীমাতার কাছে প্রার্থনা করেন যদি ছেলেকে মা কালী খুঁজে এনে দেন তাহলে তিনি ফাল্গুন মাসেই পুজো দেবেন। এক রাতে ওই ব্যক্তি দেখতে পান বাড়িতে ছেলে এসে হাজির।
একসময় টিনের মন্দিরে পুজো হলেও বর্তমানে মন্দির কমিটির উদ্যোগে পাকা মন্দির করা হয়েছে। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে পুজো এবং মেলা চলবে। রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এদিন লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। বাংলাদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থী শ্যামল মোদক বলেন, এই মায়ের কথা আমাদের বাংলাদেশেও প্রচলন রয়েছে। তাই সব কাজ ছেড়ে মায়ের পুজোর জন্য বাংলাদেশ থেকে এসেছি।