বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নিয়েছেন কাটমানি!

বিষয়টি সামনে আসতেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

February 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিজেপির(BJP) পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে কাটমানি(Cutmoney) নেওয়ার অভিযোগ উঠল। মালদহের(Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে। আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনমজুর মায়ের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির প্রায় অর্ধেক টাকা ও ছেলের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা কাটমানি হিসেবে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 
বিষয়টি সামনে আসতেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবিষয়ে মা ও ছেলে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপাইচণ্ডী এলাকার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর দীপালি মণ্ডল ও তাঁর ছেলে পরিযায়ী শ্রমিক বাদল মণ্ডল এনিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা মণ্ডল রায়ের স্বামী পবিত্র রায়ের(Pabitra Roy) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। দীপালিদেবী বলেন, সরকারি আবাস যোজনার ঘরের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। সেই টাকা পেতেই প্রথমে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার  স্বামীকে ১০ হাজার টাকা ও পরে আরও ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে পরবর্তীতে বাকি কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছিলেন পবিত্র রায়। এসব নিয়ে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। 
আর ছেলে বাদল বলেন, আমি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করি। লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। সেসময় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী পবিত্র রায় আমাকে বলে আমার বউয়ের নামে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেবেন। সেজন্য ৫০০০ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। 
আমি ধার করে সেই টাকা জোগাড় করে পঞ্চায়েত সদস্যার সামনেই তাঁর হাতে তা তুলে দিই। কিন্তু বছর ঘুরতে চলল, এখনও পর্যন্ত ঘরের কোনও হদিশ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে বিজেপির  পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত পবিত্র রায় বলেন, ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি।  অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই চক্রান্ত করেছেন।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সভাপতি মানিক দাস বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগেই কাটমানি নিতে শুরু করেছে। তাহলে ক্ষমতায় এলে তারা কী করবে? এনিয়ে বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর-১ মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেন, এটা তৃণমূলের চক্রান্ত হতে পারে। 
অভিযোগ সত্যি হলে ওই বিজেপি সদস্যের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ব্যাপারটি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen