টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার স্বপ্ন গিলের, কিন্তু সুযোগ কি আসবে এখনই
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে ভারতকে ২-২ সমতায় শেষ করতে নেতৃত্ব দিয়ে এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে তিনি আবার আলোচনায় এসেছেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৫৭: এশিয়া কাপ ২০২৫কে সামনে রেখে ভারতীয় নির্বাচকরা শীঘ্রই সম্ভাব্য দল ঘোষণা করতে চলেছেন। শিরোপা জয়ের লক্ষ নিয়ে ভারত এবারও টুর্নামেন্টে নামবে, তাই দল সাজানো নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর আলোচনা চলছে। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম শুবমন গিল(Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে ভারতকে ২-২ সমতায় শেষ করতে নেতৃত্ব দিয়ে এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে তিনি আবার আলোচনায় এসেছেন। নেতৃত্ব ও ধারাবাহিক ব্যাটিং পারফরম্যান্সে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন তিনি।
তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গিলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। তিনি শেষবার খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, যেখানে তাকে সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল। জিম্বাবোয়ে সফরে অধিনায়ক হিসেবে ৪-১ জিতিয়েছিলেন দলকে। পরিসংখ্যান ভালো — ২১ ম্যাচে ৫৭৮ রান, গড় ৩০.৪২, স্ট্রাইক রেট ১৩৯.২৭, একটি শতরান ও তিনটি অর্ধশতরান। আইপিএলেও একই রকম স্ট্রাইক রেট (১৩৮.৭১) ও গড় (৩৯.৪৪)। কিন্তু সমস্যা হল, গিল সাধারণত ইনিংস শুরুতে সময় নেন, যা বর্তমান ভারতের ‘ফিয়ারলেস’ টি-টোয়েন্টি কৌশলের সঙ্গে মেলে না।
সুর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বেশ চোখে পড়েছে। গত এক বছরে প্রথমে ব্যাট করে ১৩ ম্যাচে ৮ বার ২০০+ রান তুলেছে । অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, তিলক ভার্মা, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া—সবাই শুরু থেকেই মারকুটে ভঙ্গিতে খেলছেন। এর মধ্যে সঞ্জু-অভিষেকের ওপেনিং জুটি বেশ জমে গেছে, সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালও প্রস্তুত। গিলকে দলে নিলে তার জন্য টপ-অর্ডারে জায়গা ফাঁকা নেই, আর তিন বা চার নম্বরে খেলানো তার জন্য অপচয় হবে।
এছাড়া সহ-অধিনায়কত্বও এখন অক্ষর প্যাটেলের হাতে, যিনি ব্যাট-বলে সমান কার্যকর এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। গিল ফিরলে তার প্রতি অন্যায় হবে।
সব মিলিয়ে এখনই গিলকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানো যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি ভবিষ্যতের বড় সম্পদ হলেও এই ফরম্যাটে নিজেকে আরও প্রমাণ করতে হবে। বর্তমান ব্যালান্সড ও আক্রমণাত্মক ভারতীয় দলকেধরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।