ট্রাম্পের ‘হুমকি’তে ‘ঝুকেগা নেহি’ ভারত! বিশ্বস্ত ‘বন্ধু’তে আস্থা রেখে অব্যাহত রুশ তেল আমদানি
‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু শক্তি নির্ভর নয়, এটি সামরিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগতভাবে বহু দশকের পুরনো বন্ধুত্ব।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪.০৫: রয়টার্সের দাবি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কোনও রকম ছন্দপতন হয়নি। বরং ভারতের শক্তি-চাহিদা ও কূটনৈতিক নীতির নিরিখে মস্কোকেই বিশ্বস্ত বন্ধুকেই ফের ভরসা করল নয়াদিল্লি।
সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম ও ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি, এই চার শীর্ষ তেল শোধনাগার রুশ তেল আমদানি বন্ধ করেছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, রুশ তেলের উপর থেকে ছাড় কমেছে এবং ট্রাম্প প্রশাসন ফের ক্ষমতায় এসে রাশিয়া-সংযুক্ত আর্থিক লেনদেনে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা।অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল তবে কি ভারত মার্কিন চাপে মাথা নোয়াচ্ছে?এই প্রশ্নের উত্তরই কার্যত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “শক্তিসম্পদ আমদানিতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। জাতীয় স্বার্থ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও আন্তর্জাতিক বাজারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” অর্থাৎ, কোনও চাপেই রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত বদলাবে না ভারত।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এ বিষয়ে আগে মন্তব্য করে বলেন, “আমি শুনেছি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে। জানি না খবরটা ঠিক নাকি ভুল, তবে এটা ভারতের পক্ষেই ভাল।” তবে এই মন্তব্যকে একপাক্ষিক ও তথ্যভিত্তিক নয় বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু শক্তি নির্ভর নয়, এটি সামরিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগতভাবে বহু দশকের পুরনো বন্ধুত্ব। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও ভারত সেই সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ফলে শুধুমাত্র মার্কিন চাপের কারণে রুশ তেল থেকে সরে আসা আপাতত বাস্তবসম্মত নয়।
বিদেশমন্ত্রকও জানিয়ে দিয়েছে, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুস্তরীয় ও গভীর। একতরফা দাবি বা সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা নীতি পাল্টাই না।”