প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড় দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করছে না রেল!

২০০৯ সালের আগে পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ ছাড় দেওয়া হতো ট্রেনের টিকিটে

July 23, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

২০০৯ সালের আগে পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ ছাড় দেওয়া হতো ট্রেনের টিকিটে। পুরুষের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ, মহিলাদের ৫০ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হওয়ার পর মহিলাদের বয়সসীমা কমিয়ে ৫৮ বছর করা হয়েছিল। পুরুষদের ক্ষেত্রে ছাড় বেড়ে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। কোভিডকালে তা সম্পূর্ণ স্থগিত করে দেওয়া হয়।

আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং শুক্রবার রাজ্যসভায় প্রশ্ন রাখেন, রেলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় আবার কবে থেকে চালু হবে? জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, যাত্রী পিছু ব্যয়ের অন্তত ৫০ শতাংশ বহন করে ভারতীয় রেল। কারণ একটাই। রেলভাড়ার যে কাঠামো এখন আছে, সেটা অনেক কম। এর উপর টিকিটে ছাড় দে‍ওয়া হলে তার আর্থিক বোঝা রেলকে বহন করতে হয়। এমনিতেই কোভিড সংক্রমণের জন্য দু’বছর ধরে আয় অনেক কমে গিয়েছে। এই আর্থিক সঙ্কটের জেরে রেলের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই নতুন করে কোনও ছাড় আর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রবীণ নাগরিকদেরও টিকিটের ভাড়ায় কোনও ছাড় দেওয়ার দরকার আছে বলে রেল মনে করে না। কারণ, যথেষ্ট ছাড় ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে থাকে। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের চার রকমের ছাড় দেওয়া হয়। রোগী কিংবা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১১ রকমের ছাড় রয়েছে।

রেলের এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনে খরচ ৯১১ কোটি। নতুন বিমান ৮ হাজার ৪০০ কোটির। শিল্পপতি বন্ধুদের জন্য বছরে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটির কর ছাড় দিতে পারে মোদী সরকার। কিন্তু প্রবীণদের রেলটিকিটে ছাড়ের জন্য দেড় হাজার কোটি নেই।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen