উত্তরবঙ্গে শিল্পপার্ক গড়ার আহ্বান শিল্পপতিদের
বেসরকারি উদ্যোগে পাক গড়ে উঠলেও পরিকাঠামো উন্নয়নে যে রাজ্য সরকার কোনও কার্পণ্য করবে না

শিল্পপার্ক (Industrial Park) গড়ার ক্ষেত্রে আবেদনের শেষ সময়সীমা চলতি বছর থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ি সংলগ্ন দুটি বেসরকারি পার্ক পরিদর্শন করে সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা।
বেসরকারি উদ্যোগে পাক গড়ে উঠলেও পরিকাঠামো উন্নয়নে যে রাজ্য সরকার কোনও কার্পণ্য করবে না, তাও এদিন শিল্পপতিদের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। তবে পার্ক সংলগ্ন এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি শিল্পপতিদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
চেয়ারম্যানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (CII)-এর উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ সাহা বলেন, “সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যে অঞ্চলে আমরা কাজ করব, সেখানকার মানুষদের সুযোগসুবিধা দেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন”। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মূলত সরকারি ক্ষেত্রে প্রয়োজনমতো জমি পাওয়া ৯৯ বছরের লিজে এবং নিয়মিত লিজ প্রিমিয়াম এবং রেন্ট দেওয়ার ঝক্কি রয়েছে। সমস্যা রয়েছে ফায়ার সেফটি লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও। ফলে সরকারি শিল্পতালুক বা পার্কগুলিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখান না শিল্পপতিরা। অন্যদিকে, বেসরকারি পার্কে প্রয়োজন মতো জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা নেই, তেমনই পার্মানেন্ট ওনারশিপ পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতির জন্য ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর বেসরকারি পার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।
সেই মতো ফুলবাড়ির জটিয়াকালী এবং ছোবাভিটায় বেসরকারি পার্ক গড়ে উঠেছে। বেসরকারি শিল্প পার্ক হলেও দুটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের তরফে প্রায় ১৫ ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। সেই মতো ফুলবাড়ির জটিয়াকালী এবং ছোবাভিটায় বেসরকারি পার্ক গড়ে উঠেছে। বেসরকারি শিল্প পার্ক হলেও দুটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের তরফে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার স্টাফ স্টেশন গড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ৪ কোটি টাকা খরচ করে সীমানাপ্রাচীর, রাস্তা এবং ড্রেন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কেউ এই ধরনের শিল্প পার্ক গড়ে তুললে সেই ক্ষেত্রেও পরিকাঠামো রাজ্য সরকার গড়ে দেবে বলে এদিন জানান রাজীববাবু। আবেদন করার মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। ভুট্টা চাষে জোর দিয়ে আমবাড়িতে ভুট্টা পার্ক গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।