ধান-চাল পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত পণ্যবাহী গাড়িগুলিতে GPS এবং ওজনের সেন্সর বসানোর নির্দেশ
পণ্যবাহী গাড়িতে দুটি যন্ত্র লাগানো থাকলে ধান যে কেনা হয়েছে এবং তা রাইস মিলেও পাঠানো হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে খাদ্যদপ্তর।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ধান কেনার পরেই তা রাইস মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চাল উৎপাদনের জন্য। উৎপাদিত চাল পাঠানো হয় সরকারি গুদামে। দুটি ক্ষেত্রে পণ্যবাহী গাড়িগুলিতে জিপিএস এবং ওজনের সেন্সর মেশিন বসানোর জন্য খাদ্যদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি নির্দিষ্ট কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘খাতায় কলমে’ ধান কিনে পরে বাইরে থেকে নিম্নমানের চাল কম দামে ক্রয় করে যাতে সরকারকে সরবরাহ করা না-হয়। পণ্যবাহী গাড়িতে দুটি যন্ত্র লাগানো থাকলে ধান যে কেনা হয়েছে এবং তা রাইস মিলেও পাঠানো হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে খাদ্যদপ্তর। মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে বা অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে ধান বা চালের কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজরদারি রাখা যাবে। ধান কেনার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা আনতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে খাদ্যদপ্তর। চাষিদের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই করে ধান কেনা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এবছর ধানক্রয় প্রক্রিয়ায় ফড়েদের অংশ গ্রহণ রুখে দেওয়া গিয়েছে। দাবি খাদ্যদপ্তরের। প্রকৃত চাষির কাছ থেকে ধান কেনার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। চলতি খরিফ মরশুমে রেকর্ড পরিমাণ ধান কিনতে চলেছে সরকার। ধান ও চাল পরিবহণের দায়িত্ব থাকে রাইস মিল মালিকদের হাতে। তারাই লরিতে করে ধান ও চাল নিয়ে যান। ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থায় চাল করতে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এর জন্য যে অতিরিক্ত খরচ হবে সেটা সরকারকে দিতে হবে। খাদ্যদপ্তরের নির্দেশে দুটি যন্ত্র বসানোর খরচ রাইস মিল মালিক বা পরিবহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে বহন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।