বিনামূল্যে টিকা মানুষের টাকায়, বিজেপির টাকায় নয়, তোপ মমতার

সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে ৩৫,০০০ কোটি টাকা ছিল ছিল। সেই টাকা কোথায় গেল? এই প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টও করেছে।’

June 9, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিনামূল্যে টিকা (Covid-19 Vaccine) দেওয়া হলে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃতিত্ব নেবেন? এটা বিজেপির টাকা নয়। এটা আমজনতার টাকা। বুধবার নবান্নে সোজাসুুজি একথাই  বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘যদি বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব নেওয়ার এত কিছু হয়নি। এটা বিজেপির টাকা নয়। এটা জনতার টাকা। আর এটা যখন জনতার টাকা, তখন সাধারণ মানুষের কাছে আগে থেকেই পাঠানো হয়নি কেন? সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে ৩৫,০০০ কোটি টাকা ছিল ছিল। সেই টাকা কোথায় গেল? এই প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টও করেছে।’

মমতার অভিযোগ, সংশোধিত টিকানীতির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করছে মোদী সরকার। টিকানীতি নিয়ে রাজ্যকে কিছু জানানো হয়নি। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ‘এখনও নির্দেশিকা তৈরি করেনি (কেন্দ্র)। কবে (টিকা) আসবে, কীভাবে আসবে, কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। এরা (বিজেপি সরকার) যা বলে, তা করে না। উলটো কাজ করে।’ সঙ্গে মমতা দাবি করেন, রাজ্যে দু’কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২০০ কোটি টাকার বেশি টিকা কিনেছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ছাড়া কিছু কেন দেন না। বিহার নির্বাচনের আগেও বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেটার কী হল?

গত সোমবার দেশের সংশোধিত টিকা নীতির ঘোষণা করেন মোদী (PM Modi)। তিনি দাবি করেছিলেন, রাজ্যগুলির জন্যই টিকানীতির বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছিল। তাতেই যত বিপত্তি বেঁধেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতেও নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে রাজ্যের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টায় কোনও ফাঁক নেই। তা নিয়ে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘কোনও কর্মসূচি নেই (কেন্দ্রের)। শুধু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বলার নোংরা কর্মসূচি চলছে।’

এমনিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২১ জুন দেশের ১৮-৪৪ বয়সিদের বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। সেজন্য টিকা প্রস্তুতকারীদের থেকে ৭৫ শতাংশ প্রতিষেধক কিনবে কেন্দ্র। যা বিনামূল্যে প্রদান করবে রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোন রাজ্যকে কত টিকা প্রদান করা হবে, তা আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যগুলিও জেলা প্রশাসন এবং টিকাকেন্দ্রে আগেই সেই তথ্য জানিয়ে দেবে। জেলাস্তর এবং কোন টিকাকেন্দ্রের ভাঁড়ারে কত প্রতিষেধক আছে, তা জনসমক্ষে জানাতে হবে। কো-উইন পোর্টালের পাশাপাশি টিকাকেন্দ্র নিয়েও নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যা সকলের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen