ভোটের মরসুমে দেশবাসীর খাদ্যাভ্যাসেও মেরুকরণের চেষ্টা করছেন মোদী?
প্রধানমন্ত্রীর মতে যারা চৈত্র নবরাত্রির সময় আমিষ ভক্ষণ করে, তারা অন্যদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটের ময়দানে আমিষ বনাম নিরামিষ বিতর্ক তুলে দেশবাসীর খাদ্যাভ্যাসেও মেরুকরণের চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নির্বাচনী সভায় মোদী বললেন, চৈত্র মাসের নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়া এবং সেটা প্রদর্শন করা মোগল অত্যাচারের মানসিকতা। প্রধানমন্ত্রীর মতে যারা চৈত্র নবরাত্রির সময় আমিষ ভক্ষণ করে, তারা অন্যদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। তিনি বলেন, সারা বছর যার যেমন ইচ্ছা, তেমন খাদ্য খেতেই পারে। কিন্তু এভাবে নবরাত্রির সময় আমিষ খেয়ে সেটা জনসমক্ষে প্রচার করার মধ্যে রয়েছে খারাপ মানসিকতা। তাঁর প্রশ্ন, কাদের খুশি করার জন্য এই আমিষ খাওয়া? বিরোধীদের মোগল শাসনের অত্যাচারীদের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন তাঁর এই ক্ষোভ?
নবরাত্রির (Sawan) সময় বা শ্রাবণ মাসে মাছ-মাংস খাওয়া বা তার ভিডিয়ো নেট-দুনিয়ায় দেওয়াকে ‘মোগলদের মানসিকতা’ (Just like Mughals) বলে আজ বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মোদী। নাম না করে রাহুল গান্ধী, লালু প্রসাদ, তেজস্বী যাদবদের নিশানা করেছেন। কারণ গত বছর রাহুল গান্ধী লালু প্রসাদের সঙ্গে পাঁঠার মাংস রান্না করার ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন। কিছু দিন আগে তেজস্বী ভোটের প্রচারে গিয়ে মাছ খাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, নবরাত্রি (Navratri), শ্রাবণ মাসে দেশের একাংশের হিন্দুরা নিরামিষ খান বলে তাঁদের রুচি-পছন্দ মেনে বাকি অংশের মানুষকেও নিরামিষ খেতে হবে বা লুকিয়ে মাছ-মাংস খেতে হবে? ফেসবুক-টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে কি দুর্গাপুজোর সময় মাংস খেয়ে ছবি দিলে সেটাও ‘মোগল মানসিকতা’ বলে নিন্দিত হবে? তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আজ ময়নাগুড়িতে ভোটপ্রচারে গিয়ে বলেছেন, “বিজেপি শুধু আপনাদের ভোট চায় না। আপনারা কী পরবেন, কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কাকে ভালবাসবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী সেটাও ঠিক করে দিতে চান। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত বিজেপি নিতে চায়।’’