ভারতীয় পেসার ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর ভবিষ্যৎ কি অনিশ্চিত? অপেক্ষার প্রহর গুনছে দর্শকরা
‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ শুটিং শুরুর আগে থেকেই ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজেকে তৈরি করতে কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন অনুষ্কা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৫৫ : ঝুলন গোস্বামীর(Jhulan Goswami)জীবন অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’(Chakdaha Express)নিয়ে দর্শকদের মধ্যে প্রত্যাশার পারদ ছিল বেশ তুঙ্গে।এই ছবি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও, সিনেমাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে বর্তমানে তৈরি হয়েছে প্রবল ধোঁয়াশা। বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার(Anushka Sharma)কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি হিসেবে ধরা হয়েছিল এই বায়োপিককে। কিন্তু এই ছবি মুক্তির আগে এখন ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’।
এই সিনেমার ঘোষণা হয়েছিল ক্লিন স্লেট ফিল্মজ-এর তরফে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র অনুষ্কাএই প্রযোজনা সংস্থাটির সঙ্গে নিজেও যুক্ত ছিলেন , যদিও বছর দুয়েক আগে পুরো দায়িত্ব ভাই কর্ণেশ শর্মার হাতে তুলে দেন তিনি। এই ছবির শুটিং শুরুর আগে থেকেই ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বিষয়ে নিজেকে তৈরি করতে কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন ‘কোহলির'(Virat Kohli)স্ত্রী অনুষ্কা। এমনকি ঝুলন গোস্বামীর মতোই ফিটনেস ধরে রাখতে নিজের ডায়েটে পান্তাভাত অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। অনুষ্কার সিনেমার জন্য এই ধরনের প্রস্তুতি এই সিনেমার অনুরাগীদের প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, সিনেমার মুক্তির দিন ততই পিছিয়েছে। গত বছরই গুঞ্জন ওঠে, নেটফ্লিক্স ও ক্লিন স্লেট ফিল্মজ-এর চুক্তি নাকি বাতিল হয়েছে। এর জেরে সিনেমার মুক্তি নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। যদিও প্রযোজনা সংস্থার তরফে একসময় জানানো হয়েছিল, ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ আসছে নেটফ্লিক্সেই।
ছবিতে অনুষ্কার কোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলার ছেলে দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনিও বলেন, “আমিও সকল দর্শকের মতোই এই ছবির মুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছি।” তাঁর কথায়, “প্রসিতের ( এই ছবির পরিচালক) বাড়িতে আমি ছবিটা দেখেছি। ও প্রথমে দেখাতে চাইছিল না, বলেছিল ছবির কিছু কাজ এখনও বাকি তাই । কিন্তু শেষমেশ ও আমাকে ছবিটা দেখায়।” দিব্যেন্দুর মতে, এটি নাকি অনুষ্কা শর্মার জীবনের অন্যতম সেরা কাজ।
এই ছবির মুক্তি পাওয়া নিয়ে দিব্যেন্দু বলেন , “আমার কোনও ধারণা নেই যে কবে মুক্তি পাবে ,আমি শুধু মনেপ্রাণে চাইছি ছবিটা দর্শকের সামনে আসুক।” প্রযোজনা সংস্থা এবং নেটফ্লিক্সের মধ্যে কী সমস্যা চলছে, তা নিয়েও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। আপাতত ছবির ভাগ্য নির্ধারণের অপেক্ষাতেই আছেন সকলে।