অভিযোগের সমাধান নেই! ট্রেনে খাবারের গুণমান নিয়ে আদৌ চিন্তিত মোদী সরকার?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সতর্ক করে বা পরামর্শ দিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জরিমানার হার আবার লক্ষ্যণীয়ভাবেই কম।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ট্রেনের খাবারের মান নিয়ে যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরেই না খুশ! মোদী আমলে যেন বেশি করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই অভিযোগ। মোদী সরকারের শাসনকালে রেলের খাবার ঠেলে তোলা দায়, এমনই অভিযোগ করেন যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেনে খাবারের গুণমান নিয়ে কি আদৌ চিন্তিত মোদী সরকার? মোদী সরকারের কাজকর্ম তো বলছে না। সংসদে মোদী সরকারের রেলমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরেরও কম সময়ে খাবারের গুণমান নিয়ে রেলের কাছে ৮ হাজার ২৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু মাত্র ১ হাজার ৭৬৯টির অভিযোগের সমাধান মিলেছে। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অভিযোগের সমাধানই হয়নি। অভিযোগের সমাধান করতে গিয়ে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সতর্ক করে বা পরামর্শ দিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জরিমানার হার আবার লক্ষ্যণীয়ভাবেই কম। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছেই নেই রেলমন্ত্রকের।
ট্রেনের খাবার সংক্রান্ত অভিযোগকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে রেল, একটি খাবারের গুণমান এবং অন্যটি খাবারের পরিমাণ। রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খাবারের গুণমান এবং পরিমাণ নিয়ে মোট ৮ হাজার ২৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে গুণমান সংক্রান্ত অভিযোগের পরিমাণই বেশি। সংখ্যাটা প্রায় ৭ হাজার ৫৪৪টি। খাবারের পরিমাণ নিয়ে ৭০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। রেলমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গুণমান সংক্রান্ত অভিযোগগুলির মধ্যে ৩৯টি ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়েছে। পরিমাণ সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে মোটে দুটি ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে। সতর্ক করা বা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হত। গুণমান নিয়ে অভিযোগের ৯৬৯টি ক্ষেত্রে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছে রেল। ১ হাজার ৭৯৩টি ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে দায় এড়িয়েছে রেল। খাবারের পরিমাণ সংক্রান্ত অভিযোগের ৫২টি ক্ষেত্রে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছে রেল। ১৫৩টি ঘটনায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ২৯৮টি ঘটনায় রেল জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি।
যাত্রীরাই বলছেন, অভিযোগ জানিয়ে যদি সমাধানই না হয়, বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে নিন্মমানের খাবারই খেতে হবে।