আজ জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা, জানেন এই তিথির মাহাত্ম্য?

বলা হয় স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেবের জ্বর হয়। তাই তিনি বিশ্রামে থাকেন।

June 4, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: PTI

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। পূর্ণিমার আগের দিন পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে স্নান মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়। জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর বিগ্রহ ফুলসাজে সাজানো হয়। পুজো-আরতি শেষ হলে ‘সুনা কুয়া’ নামে সোনার তৈরি এক কুয়ো থেকে জল আনা হয়। ১০৮ টি স্বর্ণ পাত্রে জল ভরা হয়। সেই জলেই স্নান করানো হয়। জগন্নাথ-বলরামকে গজ বেশে সাজানো হয়। সুভদ্রা দেবীকে পদ্ম সাজে সাজানো হয়। ভক্তরা জগন্নাথকে দর্শন করতে আসেন।

বলা হয় স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেবের জ্বর হয়। তাই তিনি বিশ্রামে থাকেন। জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাদেবীকে রতন বেদী নামে এক বিশেষ বেদীতে রাখা হয়। এই সময় হল অনাবাসর কাল, অর্থাৎ পুজো করার অযোগ্য সময়। এই সময় ভক্তরা ব্রহ্মগিরিতে অলরনাথ মন্দিরে যান। তাদের বিশ্বাস, অনসর পর্যায়ে জগন্নাথ অলরনাথ রূপে অবস্থান করেন। কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক ‘পাঁচন’ খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথ।

১৫ দিনে জগন্নাথ দেবকে আগের সাজে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর নেত্র উৎসবে প্রভু জগন্নাথের নয়ন উন্মেলিত হয়। ষোলতম দিনে দারুদেব আবার সবার সামনে আসেন। রাজবেশে সাজানো হয় তাঁকে। এই দিনেই হয় রথযাত্রা।

স্নানযাত্রা নিয়ে একাধিক কাহিনী রয়েছে। যেমন, স্কন্দ পুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথদেবের দারু বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই স্নান যাত্রা উৎসব শুরু হয়। স্নানযাত্রাকে তাই জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। আবার, মনে করা হয়, জ্যৈষ্ঠর পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভ‌ু মনুর ‌যজ্ঞের প্রভাবে জগন্নাথদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই তিথিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মনু।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen