জীতু কমলের প্রত্যাবর্তন: ফের ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ ফিরছেন নায়ক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: ২০০৮ সালে ক্যামেরার সামনে প্রথম কাজ। সেখান থেকে ২০২৫—দীর্ঘ ১৭ বছরে নিজের পথচলার সিংহভাগ সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন টেকনিশিয়ান দাদা-বন্ধুদের। জীতু কমল আবারও মনে করিয়ে দিলেন, তাঁর অর্জনের ৮০ শতাংশই সম্ভব হয়েছে এই পরিশ্রমী মানুষদের হাত ধরে।
তিনি নিজেই বললেন, “বাড়িয়ে বলছি না বা বিনয় দেখাচ্ছি না। সেটার প্রমাণ পেতে হলে আমার ফ্লোরে গিয়ে টেকনিশিয়ানদের জিজ্ঞেস করুন।”
টেলিভিশনের জগতে সাধারণত নারী চরিত্র বেশি জনপ্রিয়তা পায়। তবে কিছু ব্যতিক্রম পুরুষ চরিত্রও দর্শকের মনে দাগ কাটে—সাধক বামাক্ষ্যাপা, অরণ্য সিংহ রায় বা মল্লার সেনের মতো। সেই তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে জি বাংলা ও এসভিএফ-এর প্রযোজনায়, অমিত সেনগুপ্তর পরিচালিত ‘আর্য সিংহ রায়’ চরিত্রটি—যা জীতুকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিয়েছে।
এই সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি একাই নিতে চান না। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন—“এই চরিত্র যেভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তার পুরো ক্রেডিট লেখক, প্রযোজক, পরিচালক—আর সর্বোপরি আমার ভগবান দর্শকদের।”
তবে বিতর্ক, টানাপোড়েন, শুটিং ফ্লোরে উত্তেজনা—গত কয়েক সপ্তাহে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সেটে কম ওঠানামা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেকনিশিয়ানদের প্রতি ভালোবাসা এবং দর্শকদের প্রতি দায়বদ্ধতা তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনল প্রজেক্টটিতে।
তাঁর কথায়—“শুধুমাত্র আমার টেকনিশিয়ানস এবং আমার ভগবান দর্শকদের কথা মাথায় রেখে আমি আবারও ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ প্রজেক্টটিতে জয়েন করতে বাধ্য হলাম। আশা রাখি, আর কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না।”
জীতু জানালেন, এবার তাঁর একটাই লক্ষ্য—আরও মনোযোগ, আরও পরিশ্রম আর আরও বেশি ভালোবাসা নিয়ে চরিত্রটিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
অতএব এটা স্পষ্ট— দর্শকের ভালোবাসাই তাঁকে ফিরিয়ে আনল। আর পর্দায় আর্য সিংহ রায়ের প্রত্যাবর্তন যে আরও জমকালো হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।