আত্মহত্যা না খুন? সামনে এল অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

পল্লবীর পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগও তোলা হয়েছিল।

May 17, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: Indian Express Bangla

গলায় ফাঁস লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র, এমনটাই জানাল পুলিশ। সোমবার অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা গিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তবে রবিবারই পল্লবী দে-র পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোনওভাবেই আত্মঘাতী হতে পারেন না তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বেলা পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি অভিনেত্রীর পরিবার। যদি অভিযোগ রুজু করা হয়, তাহলে পুলিশ বিশদে তদন্ত শুরু করবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছিলেন পল্লবী। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও একই ইঙ্গিত মিলছে।

এদিকে অভিনেত্রীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী পুলিশকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন, রবিবার তাঁর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল টেলি অভিনেত্রীর। কথা কাটাকাটির পর তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন ফ্ল্যাট থেকে। ফিরে এসে দেখেন, পল্লবীর ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। অনেকক্ষণ সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন সাগ্নিক। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভাঙেন তিনি। এরপরেই দেখা যায় ওই বীভৎস দৃশ্য। সাগ্নিক দেখেন, ফ্যানে বিছানার চাদর জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পল্লবী দে। তড়িঘড়ি তাঁর দেহ নামিয়ে আনেন তিনি। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান পল্লবীকে। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাত্রই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পল্লবীর পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। অভিনেত্রীর বাবা বলেছিলেন, “হাসিখুশি মেয়েটার যে কী হল! মিষ্টু (পল্লবী) আত্মহত্যা করতে পারে না। ওঁকে হয়ত খুন করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, কম সময়ের মধ্যেই টলিউডে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন পল্লবী দে। ‘সরস্বতীর প্রেম’, ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ধীরে ধীরে এন্ট্রি নেন বাংলা বিনোদন জগতে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি অভিনেত্রী। শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন। সিরিয়ালটি কম সময় চললেও, প্রশংসিত হয়েছিল পল্লবীর অভিনয়।

ইনস্টাগ্রামেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। সেখানে ৬৩ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার ছিল পল্লবীর। নেটমাধ্যমে সক্রিয় থাকায় প্রায় প্রত্যেক দিনই নানা ছবি, ভিডিয়ো দিতেন পল্লবী।

এমনকী মৃত্যুর একদিন আগেও একাধিক রিলস পোস্ট করেছিলেন ইনস্টা স্টোরিতে। সাগ্নিকের সঙ্গে মোমো এবং কটন ক্যান্ডি খাওয়ার ছবি দিয়েছিলেন তিনি। এহেন প্রাণবন্ত একটি মেয়ে কী ভাবে আত্মঘাতী হতে পারে, সেটাই ভাবাচ্ছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen