আজ থেকে ‘অ্যাকশন মোডে’ শ্রম দপ্তর, শুরু হল রাজ্য সরকারের শ্রমশ্রী প্রকল্প
একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের খবর সামনে আসতেই তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৬: একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের খবর সামনে আসতেই তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী। একেদিকে প্রতিবাদ, অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়ে রাজধর্ম পালন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সদ্যই শ্রমশ্রী প্রকল্প শুরু করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ময়দানে নামছে শ্রম দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শ্রমশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বাংলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের এই প্রকল্পের অধীনে আনা হবে। পোর্টাল চালু হতে এখনও কয়েকদিন বাকি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো বৃহস্পতিবার থেকে এই বিষয়ে কাজ শুরু করছে শ্রম দপ্তর। উল্লেখ্য, পোর্টাল চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাতে অন্তর্ভুক্তির কাজ শুরু হবে। আপাতত শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধিরা জেলায় জেলায় শিবির করে প্রাথমিকভাবে এই কাজ শুরু করবেন।
জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যে হেনস্থার শিকার হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার মূলত এই জেলাগুলিতে শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শ্রমশ্রী প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাবেন। মন্ত্রী মলয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধিকারিকেরা। আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলায় ফিরে এলে পরিযায়ী শ্রমিকরা ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় মাসে পাঁচ হাজার টাকা অনুদান পাবেন। প্রকল্প ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা ভ্রমণ সহায়তা সহ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। পুনর্বাসন ভাতা এটা। এক বছর, নতুন কাজের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নোডাল ডিপার্টমেন্ট হল শ্রম দফতর। আমাদের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ আছে। সেখানে ‘স্কিল ট্রেনিং’ দেওয়া হয়। ফিরে আসা শ্রমিকদের কার কী দক্ষতা আছে, সেটা দেখা হবে। দক্ষতা থাকলে দরকারে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া আমরা ‘জব কার্ড’ দেব। কর্মশ্রী প্রকল্পে ৭৮ লক্ষ জব কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যসাথী কার্ড দেব। স্বাস্থ্যসাথী থাকবে। বাড়ি না থাকলে কমিউনিটি সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা হবে। স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে ছেলেমেয়েদের। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রীর সুবিধাও পাবেন। বাংলায় যে ২২ লক্ষ ৪০ হাজার শ্রমিক বাইরে আছেন, তাঁরা সকলে ‘শ্রমশ্রী’-র সুবিধা পাবেন। যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেননি, তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।’’