দায় চাপানো নিয়ে পদক্ষেপ পাইলটদের, কেন্দ্রের AAIB-র সমর্থনে সংবাদ সংস্থারই বিরুদ্ধে আইনি নোটিস?
FIP-এর অভিযোগ, ১২ জুনের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত যেখানে এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই অনুমানের ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: আমেদাবাদে(Ahmedabad)বিমান দুর্ঘটনার জন্য পাইলটদের দায়ী করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’(The Wall Street Journal) ও ‘রয়টার্স’(Reuters)। তবে সেই প্রতিবেদনকে ঘিরে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল পাইলটদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস (FIP)। সংগঠনটি ওই দুই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
FIP-এর অভিযোগ, ১২ জুনের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত যেখানে এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই অনুমানের ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করে দোষ চাপানো হয়েছে সেই উড়ানের দুই পাইলটের উপর। তাও আবার কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই, এমনটাই দাবি সংগঠনের।
এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। তাদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে সেখানে পাইলটদের সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা যাবে। বরং তদন্তের কাজ চলছে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, দুর্ঘটনার সময় ককপিটে গাফিলতি ছিল এবং পাইলটদের কথোপকথনের ভিত্তিতেই ভুলের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে AAIB জানিয়ে দিয়েছে, এখনই দায় নির্ধারণ করা খুব তাড়াহুড়ো হবে।
FIP-এর বক্তব্য, এই ধরনের গল্প তৈরি করা কেবলমাত্র পাইলটদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে না, বরং নিহতদের পরিবার ও সহকর্মীদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁদের মতে, সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতা বজায় না রেখে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদন নিহতদের পরিবারের মনে গভীর আঘাত হেনেছে।
সংগঠনের কথায়, “একটি অসম্পূর্ণ তদন্তের মধ্যেই এই ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য ছড়ানো শুধু সাংবাদিকতার অপমান নয়, বরং তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এর ফলে শুধু মৃত পাইলটদের অপমানই নয়, সমস্ত পাইলটদের মনোবলে চরম আঘাত এসেছে।”
তাদের আবেদন, যতক্ষণ না AAIB-এর তদন্ত শেষ হচ্ছে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ পাচ্ছে, ততক্ষণ সব সংবাদমাধ্যমের উচিত দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করা এবং প্রমাণবিহীন রিপোর্টিং থেকে বিরত থাকা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই AAIB একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, বিমানের বাঁদিকের পাখা এবং এপিইউ থেকে সংগৃহীত জ্বালানির নমুনা এখনও পরীক্ষাধীন। পাশাপাশি, যাত্রী ও ক্রুদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও বিশ্লেষণও চলছে।