রক্ষকই ভক্ষক! মহারাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে ৪ বার ধর্ষণের অভিযোগ, বিচার না মেলায় আত্মহত্যা মহিলা ডাক্তারের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১৬:৩৩: রক্ষকই ভক্ষক! বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারায় চার বার ধর্ষণ করেছে সাব-ইনস্পেক্টর। বাঁ হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে হাসপাতালেই নিজেকে শেষ করলেন মহিলা ডাক্তার (Woman Doctor)। পুলিশি নিপীড়নের ভয়াবহ অভিযোগ জানানোর পরেও পদক্ষেপ নেয়নি সে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন প্রশাসন।
সাতারার ফলটন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন ওই তরুণী ডাক্তার। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের কক্ষ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বাঁ হাতের তালুতে লেখা ছিল, “পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। ও আমাকে চার বার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাস ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।”
তদন্তে জানা গেছে, গত ১৯ জুন ফলটনের ডিএসপি-র (DSP) উদ্দেশে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। চিঠিতে তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অনুরোধ করেছিলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু সেই আবেদন উপেক্ষিতই থেকে যায়। বিরোধীদের দাবি, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাই এক তরুণীর আত্মহত্যার কারণ।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীসের (Devendra Fadnavis) নির্দেশে অভিযুক্ত এএসআইকে (ASI) বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের (Congress) দাবি, এই পদক্ষেপ অনেক দেরিতে এসেছে এবং তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। মহারাষ্ট্র কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার (Vijay Wadettiwar) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠে, তখন সমাজ কোথায় যাবে? এক মহিলা চিকিৎসক অভিযোগ করেও ন্যায় পেলেন না। মহাযুতি সরকার (Mahayuti Government) পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।” তিনি আরও জানান, “শুধু তদন্ত নয়, অভিযুক্তদের অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে, না হলে তদন্তে প্রভাব পড়বে।”
বর্তমানে চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সাতারা জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত চালাতে হবে।