উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যার কারণ ব্যাখ্যা করে বার্তা মমতার, কী বললেন তিনি?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৩৫: প্রবল বর্ষণ ও ভুটান-সিকিমের সংকোশ নদী থেকে জল ছাড়ার ফলে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিপর্যয়ে প্রাণহানি, জীবিকা ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বহু বার বলেছি- ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন হওয়া উচিত। না হলে উত্তরবঙ্গ বারবার এমন দুর্যোগে পড়বে। ভুটানে ৫৬টি নদী, সিকিমে গড়ে উঠেছে ৪০টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ফলে বিপুল জল আচমকাই নেমে আসে উত্তরবঙ্গে।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে।” তিনি জানান, রাজ্যের মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁর নিজের কষ্টের থেকেও বেশি। শুরু থেকেই তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রাখছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু নেতা, প্রশাসনিক আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে মাঠে নেমেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিপদসংকুল এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় মৃত ২৩ জনের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।
তিনি আরও আহ্বান জানান, “এখন আমাদের সকলকে একসঙ্গে থাকতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাঁদের অভিযোগ শুনতে হবে। প্ররোচনায় পা দেবেন না। রাজনীতি নয়, মানবতাকেই পাথেয় করে এগিয়ে চলুন।”
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, রাজ্য সরকার সর্বদা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবে এবং পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
উল্লেখ্য, আটকে পড়া পর্যটকদের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘পর্যটকেরা অনেকে আটকে পড়েছেন। তাঁরা এখন যেন তাড়াহুড়ো না করেন। আপনারা যেখানে আছেন, থাকুন।’’ হোটেলগুলিতে পর্যটকদের থেকে বাড়তি ভাড়া না-নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘‘হোটেলগুলোয় যেন পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া না-নেওয়া হয়। এটা আমাদের দায়িত্ব। প্রশাসন বিষয়টা দেখে নেবে।’