21 July Shahid Dibas: অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করলে, কোথায় থাকে আপত্তি? সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা
রাত পোহালেই সোমবার তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’। শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩০: রাত পোহালেই সোমবার তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’। শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যন্ত কিছু এলাকা থেকেও ইতিমধ্যে ঘাসফুলের সমর্থকরা মহানগরীতে পৌঁছেছেন। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ মহানগরীতে পৌঁছে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তার আগে রবিবার দস্তুর মেনে ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে যান তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। যা নিয়ে এদিন সুর চড়ালেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলন দমানোর ক্ষমতা ছিল না সিপিএমের। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে গিয়ে ওরা এমন ভাবে গুলি চালিয়েছিল যে, ১৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দেড়শো জন পুলিশের গুলিতে আহত হন। প্রায় ৩৩ বছর ধরে এই প্রোগ্রাম এখানে হয়, তার কারণ এখানে অনেকগুলো প্রাণ লুটিয়ে পড়েছিল। তাই আমাদের বছরে একটাই প্রোগ্রাম শহিদ স্মরণে আমরা এখানেই করি।’’
তৃণমূলনেত্রীর সংযোজন, ‘‘এ নিয়েও অনেকের আপত্তি আছে। আমার বক্তব্য, তারা যখন নবান্ন অভিযান করেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া, তখন আপত্তি কোথায় থাকে? আমাদের দেখে ওদেরও প্রোগ্রাম করতে হয়। কই আমরা তো ওদের দেখে প্রোগ্রাম করি না! তৃণমূলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’’
একুশে জুলাই শহিদ দিবস বরাবর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট। এবার আবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ একুশ জুলাই। ফলে তার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। তার তোড়জোড়ও তুঙ্গে। রাত পোহালে, সোমবারই সেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের দিন। মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৈরি মঞ্চে বসতে পারবেন একসঙ্গে প্রায় ৬০০ জন। রবিবার বিকেল থেকেই সভামঞ্চ চত্বরে রয়েছেন তাবড় তাবড় নেতারা। খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন সবটা।