ফুরফুরায় যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিলেন মমতা, কী বললেন তিনি?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি যখন দুর্গা পুজো করি, কালী পুজো করি তখন তো কেউ এই প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে প্রশ্ন উঠছে কেন?”
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরাসরি নয়, কিন্তু ঠারেঠোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, ফুরফুরা শরিফে তাঁর এই সফর ঘিরে কোনওরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজতে যাওয়া অনুচিত।
রমজান মাসে ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ভোটের রাজনীতি করতে ফুরফুরায় গিয়েছেন। এদিন বিকেলে ফুরাফুরা শরিফের অনুষ্ঠান থেকে যার জবাব দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রায় এক দশক পর ফুরফুরায় অনুষ্ঠানে পৌঁছে শুরুতেই ওই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, বিরোধীদের এই ‘ধর্মের রাজনীতি’র অভিযোগ নিয়ে তিনি বিরক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি যখন দুর্গা পুজো করি, কালী পুজো করি তখন তো কেউ এই প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে প্রশ্ন উঠছে কেন?”
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মনে রাখবেন আমি যেমন খ্রীষ্টানদের অনুষ্ঠানে যাই তেমনই ঈদ মুবারকেরও যাই। ইফতার নিজে করি, পাঞ্জাবিদের গুরর দোয়ারেও যায়, প্রতিটি ধর্মের অনুষ্ঠানেই আমি যায়। কারণ, আমি মনে করি বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। তাই যেমন দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছি তেমনই রমজানে সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছি।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ফুরফুরায় যে পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে তা আবু বকর সাহেবের নামেই নামকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওবিসি সংরক্ষণের বিলটার জন্য রিক্রুটমেন্ট আটকে রয়েছে। তৈরি করা জিনিস থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার, নার্সদের রিক্রুটমেন্ট করতে পারছি না। এগুলোর সমস্যা মিটে গেলে ওগুলো চালু হয়ে যাবে।
ফুরফুরার পীরজাদারাও মুখ্যমন্ত্রীর সম্প্রীতির বার্তার প্রশংসা করে বলেন, “এখানে হিন্দু মসুলমান সকলে একসঙ্গে বসবাস করি। কিছু অশুভশক্তি আমাদের এই ভালবাসার মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ভাবে নজর রেখেছেন।”