জেলায় জেলায় দিদির দূত, সরকারি প্রকল্পের নজরদারিতে ১৩ আমলাকে পাঠাচ্ছেন মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫৬: বাংলায় SIR আবহে জেলায় জেলায় সরকারি প্রকল্পের নজরদারিতে প্রবীণ আমলা তথা ১৩ জন আইএএস অফিসার (IAS Officer) পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ নিয়ে নবান্নও জারি করেছে নতুন নির্দেশ। এই তালিকায় রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সচিব। যেমন গ্রামোন্নয়ন সচিব, বিদ্যুৎ ও তথ্য সংস্কৃতি সচিব, খাদ্য সচিব প্রমুখ। ফলে প্রশাসনিক মহলে এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের স্বাক্ষরিত নির্দেশে বলা হয়েছে, বাংলার বাড়ি (Banglar Bari Scheme), পথশ্রীএবং ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’-এর মতো প্রকল্প দ্রুত ও সময়বদ্ধভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সিনিয়র আইএএস অফিসারদের সরেজমিনে গিয়ে কাজের গতি ও মান যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভায় দায়িত্বে থাকছেন শান্তনু বসু, পশ্চিম মেদিনীপুরে মনীশ জৈন, পুরুলিয়ায় সঞ্জয় বানসাল, আলিপুরদুয়ারে কৌশিক ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়িতে দুষ্যন্ত নারিয়ালা, দার্জিলিংয়ে মৌমিতা গোদারা বসু, মালদায় পি. উলাগানাথন, দক্ষিণ দিনাজপুরে সুরেন্দ্র গুপ্ত, উত্তর ২৪ পরগনায় পারভেদ আহমেদ সিদ্দিকী, হুগলিতে অঙ্কুর সিংহ মীনা, বীরভূমে শরদ কুমার দুবে, পূর্ব বর্ধমানে বন্দনা যাদব এবং পশ্চিম বর্ধমানে বরুণ কুমার রায়।
নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, এই অফিসাররা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করবেন। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী এগোচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও বিলম্ব বা জনঅভিযোগ থাকলে তার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে নবান্নে রিপোর্ট ও সুপারিশ পাঠাবেন। জনঅভিযোগের নিষ্পত্তি যাতে যথাযথভাবে হয়, তাও বিশেষভাবে নজরদারি করতে হবে।
প্রশাসনিক মহলের মতে, প্রকল্পগুলির গতি বাড়াতে এবং বাস্তব পরিস্থিতি সরাসরি জানার জন্যই এই পদক্ষেপ। শীর্ষ আমলাদের প্রত্যক্ষ নজরদারি থাকলে কাজের মান ও গতি দুটোই বাড়ে। তাঁদের রিপোর্ট সরাসরি মুখ্যসচিবের দপ্তরে জমা পড়বে এবং জেলা প্রশাসন, কলকাতা পুরসভা ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছেও পাঠানো হবে।