মমতার নির্দেশ, বাংলাদেশে পুশব্যাক করা অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস রাজ্যসভার সাংসদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:২১: বীরভূমের পাইকার গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। দিল্লি থেকে আটক করে তাঁর স্বামী ও সাত বছরের সন্তান-সহ তাঁকে মাত্র দু’দিনের মধ্যে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও সোনালির পরিবার দাবি করেছে, তারা বহু প্রজন্ম ধরে বীরভূমের স্থায়ী বাসিন্দা।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম সোনালির বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেন। একইসঙ্গে তিনি আরেক ভুক্তভোগী সুইটি বিবির পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
এক্স হ্যান্ডলে সামিরুল লেখেন, “আজ আমি বীরভূমের মুরারইয়ের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছিলাম অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনের দুঃখে ভেঙে পড়া বাবা এবং মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। প্রায় দু’মাস আগে তাঁদের দুই মেয়েকে— যাঁরা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক—অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যদিও তাঁদের পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বীরভূমে বসবাস করছে, তবুও ওই দুই নারীকে সন্তান-সহ সীমান্ত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।”
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্ট ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। আমি পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাঁদের মেয়েদের ঘরে ফিরিয়ে আনব। ফিরে এলে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিজেপিকে এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে সৃষ্ট যন্ত্রণার জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।”
https://x.com/SamirulAITC/status/1967482916147175903
সোনালির পরিবার ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছে। আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হলফনামা তলব করেছে এবং আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সোনালির মা-বাবা এখন সেই দিনটির অপেক্ষায় রয়েছেন, মেয়েকে ফেরত পাওয়ার আশায়।
সোনালি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশে তাঁর সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সে কোন দেশের নাগরিক হবে- এই প্রশ্নই এখন পরিবারকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।