কোষাগার ভরতে এখন মোদী সরকারের নজরে কোভিড পূর্ববর্তী ৪ বছরের করদাতারা

তাই আদায় বৃদ্ধি এবং রিটার্ন জমার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও পুরনো ‘খাতা’ খুলে বসতে চাইছে মোদী সরকার

January 26, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জমা হওয়া পুরনো রিটার্ন খুলে দেখার সংস্থান রয়েছে আয়কর আইনের ১৪৮ ধারায়। এবার তাকেই কাজে লাগাতে চাইছে মোদী সরকার। ইডির সৌজন্যে রাজনীতি হচ্ছে, কিন্তু কোষাগার ভরছে না! তার জন্য ভরসা সেই আয়কর দপ্তরই। তাই আদায় বৃদ্ধি এবং রিটার্ন জমার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও পুরনো ‘খাতা’ খুলে বসতে চাইছে মোদী সরকার। উদ্দেশ্য একটাই, এতটুকু ফাঁক রাখা যাবে না। কোভিড পূর্ববর্তী চারটি অর্থবর্ষের আয়করদাতারাই এই পর্বে থাকবেন আতশকাচের নীচে।

২০১৬-১৭ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত যাঁরা আয়কর মিটিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ খাতাগুলি নতুন করে খোলা হবে। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে পরবর্তী চার বছর যাঁদের কর নির্ধারণ হয়েছে, নতুন করে তাঁদের আবার হিসেব হবে। কীভাবে হদিশ মিলবে ‘সন্দেহজনক ফাইলে’র? এব্যাপারে আয়কর দপ্তর মূলত ভরসা করবে ‘বিভিন্ন সূত্র’ থেকে আসা তথ্যের উপর। তেমনই কাজে লাগানো হবে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিকে। বের করা হবে ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। তারপর যাচাই হবে সেইসব পুরনো রিটার্ন। মোট কথা, ‘অনৈতিক’ আয়ের সূত্র থাকা সত্ত্বেও যে সব রিটার্ন সেই সময় দপ্তরের কর্তাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল, সেগুলিকে নজরবন্দি করা হবে। এর উদ্দেশ্য কি? অবশ্যই মোটা টাকার কর আদায়।

সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে দেশে আয়কর রিটার্ন জমার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লক্ষে। অর্থাৎ বৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। আর আদায়ের অঙ্কের নিরিখে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের ৬ লক্ষ ৩৯ হাজার কোটি টাকা গত আর্থিক বছরে পৌঁছেছে ১৬ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটিতে। এমনকী চলতি আর্থিক বছরেও আয়কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করছেন দপ্তরের কর্তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen