এক মঞ্চে মোদী-পুতিন-শি, ট্রাম্পের সোশ্যাল বার্তায় হতাশার সুর
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি বাণিজ্য, এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার পরেও মোদীর সফর, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:৪৯: আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ তিনি ভারত, রাশিয়া ও চীনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন, যা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প লেখেন, ” মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীরতম অন্ধকারাচ্ছন্ন চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।”এরপরেই তাঁর সংযোজন, “আশা করি তাঁদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ ও দীর্ঘ হোক।”
এই মন্তব্যের পেছনে প্রেক্ষাপট তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে। তিন নেতার সম্পর্ক এবং যৌথ আলোচনায় জ্বালানি, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে সহযোগিতার বার্তা স্পষ্ট হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন দেশের ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে চীনের প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য হিসেবে দেখে এসেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি বাণিজ্য, এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার পরেও মোদীর সফর, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। তাঁর মতে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একতরফা বাণিজ্য সুবিধা নিচ্ছে, অথচ সামরিক ও জ্বালানি ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন দেশের ঘনিষ্ঠতা ভবিষ্যতে নতুন অক্ষশক্তি গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।