পাঞ্জাবের রাজধানী কেড়ে নিতে চান মোদী? ক্ষোভে ফুঁসছেন ভগবন্ত মান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১৫: চণ্ডীগড়কে সংবিধানের ২৪০ অনুচ্ছেদের আওতায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। এই পরিবর্তন কার্যকর হলে এই কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের জন্য সরাসরি নিয়ম জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি পাবেন। বর্তমানে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার যৌথ রাজধানী হিসেবে চণ্ডীগড়ের প্রশাসন পরিচালনা করেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল।
শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ডিসেম্বর ১ তারিখে, আর তার আগেই সংসদের বুলেটিনে উঠে এসেছে যে সরকার সংবিধানের ১৩১তম সংশোধন বিল, ২০২৫ পেশ করতে চাইছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছে আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস এবং আকালি দল। পাঞ্জাবের প্রতি বড় অবিচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে এই দলগুলি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে হরিয়ানা আলাদা রাজ্য হওয়ার পর চণ্ডীগড়কে কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এটি পাঞ্জাব ও হরিয়ানার যৌথ রাজধানী এবং পাঞ্জাবের রাজ্যপালই প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। পাঞ্জাবে বহুদিন ধরেই দাবি ওঠে যে চণ্ডীগড় প্রকৃতপক্ষে পাঞ্জাবেরই অংশ, এবং হরিয়ানার নিজের আলাদা রাজধানী থাকা উচিত।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র পাঞ্জাবের রাজধানী ছিনিয়ে নিতে চাইছে। তাঁর কথায়, চণ্ডীগড় পাঞ্জাবের জমিতে গড়ে ওঠা শহর এবং এটি পাঞ্জাবেরই অংশ ছিল ও থাকবে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তে পাঞ্জাবের মানুষের সম্মান ও অধিকারের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।
পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিংও সতর্ক করে বলেছেন, এরকম পদক্ষেপে গুরুতর পরিণতি হবে। পাঞ্জাবের দাবি, ইতিহাস, ভূগোল ও প্রশাসনিক বাস্তবতা, সব মিলিয়েই চণ্ডীগড় রাজ্যের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। কেন্দ্রের এই নতুন পদক্ষেপ তাই পুরো অঞ্চলে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে।