‘মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে’, মত হাসিনা-পুত্র সাজীব ওয়াজেদের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা। তারপর থেকে হাসিনা ভারতে আছেন। জয় জানিয়েছেন, ভারতে তাঁর মা নিরাপদ। জয় জানান, রায় কী হতে চলেছে, তা সকলেই জানে। সরাসরি সম্প্রচারও করা হবে। তাঁর মাকে দোষী সাব্যস্ত করবে ওরা (বর্তমান বাংলাদেশ সরকার)। হয়তো মৃত্যুদণ্ডই দেবে। জয় আরও জানান, তাঁর মা ভারতে নিরাপদে রয়েছেন। ভারত সরকার তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। তাদের তত্ত্বাবধানে ফেব্রুয়ারি মাসে সে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জয় সরব হয়েছেন। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপও জানিয়েছেন।
হাসিনাকে আজ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? বাংলাদেশের সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, হাসিনা পলাতক থাকায় এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আবেদন জানাতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী, রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। তার জন্য হাসিনাকে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে। দেশের বাইরে থেকে তাঁর কোনও বার্তা আদালতে গ্রাহ্য হবে না। হাসিনা-পুত্র জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা তাঁরা ভাবছেন না। তাঁর মা ভারতে সুরক্ষিত রয়েছেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হলে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে নতুন সরকার গঠিত হলেই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করবেন, জানিয়েছেন জয়।