পাহাড়ে দুর্যোগ শুরু! রবিবার NH10-এ ধস, ফুঁসছে তিস্তা-তোর্সা
স্বেতিঝরার কাছে জাতীয় সড়কে ধস চোখে পড়ে। রাস্তার একাংশ ভেঙে তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫৩: এবার উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। পাহাড়ে একটানা বৃষ্টিতে কার্যত বিপযর্স্ত জনজীবন। লাগাতার বর্ষণের জেরে ধস নেমেছে বাংলা-সিকিম যোগাযোগের লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়কে। রবিবার সকালে স্বেতিঝরার কাছে জাতীয় সড়কে ধস চোখে পড়ে। রাস্তার একাংশ ভেঙে তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার রাস্তায় ফাটল ধরা শুরু করেছিল। রবিবার সকালে জাতীয় সড়কের বেশ খানিকটা অংশ তিস্তায় চলে যায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তিস্তা ও তোর্সা দুই নদীতেই হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচদপ্তর। জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ির কিছু এলাকায় তিস্তার জল উঠতে শুরু হয়েছে। ফুঁসে উঠছে উত্তরের নদীগুলি।
নাগাড়ে বৃষ্টি চললে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি একাধিক এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করবে। আলিপুরদুয়ারেও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে ডিমা, কালজানি, রায়ডাক-সহ বিভিন্ন নদীতে জল বাড়ছে। শনিবার রাত থেকে আলিপুরদুয়ারে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ১৫২ মিলিমিটার।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। উত্তবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। যার জেরে এই প্রবল বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়বে। তিস্তা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়বে। নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।