জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম নিয়ে হল না সিদ্ধান্ত, GST হারে কেমন বদল হল?

বোতলবন্দি জল ও ১০ হাজার টাকার নীচে থাকা সাইকেলের দামের ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে।

December 22, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
রাজস্থানের জয়সলমেঢ়ে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৫তম বৈঠকে সিদ্ধান্তই নেওয়া হল না জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম নিয়ে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজস্থানের জয়সলমেঢ়ে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৫তম বৈঠকে সিদ্ধান্তই নেওয়া হল না জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম নিয়ে। প্রত্যাশা ছিল জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে জিএসটি কমানো হতে পারে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের উপস্থিতিতে বৈঠক হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখমুখি হয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্মাট চৌধুরী জানান, কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি জীবনবিমার প্রিমিয়াম নিয়ে। বহু পণ্যে জিএসটির হার পরিবর্তন হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্যাকেটজাত নয়; এমন পপকর্নের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসানো হচ্ছে। প্যাকেটজাত পপকর্নের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি ও ক্যারামেল কোটেড পপকর্নের উপর ধার্য হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। পুরনো বৈদ্যুতিন গাড়ি এবং ব্যবহৃত জ্বালানি তেলে চালিত গাড়ি বিক্রির উপর জিএসটি বাড়ানো হয়েছে। ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ কর গুনতে হবে। বোতলবন্দি জল ও ১০ হাজার টাকার নীচে থাকা সাইকেলের দামের ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। সম্রাট চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে এক্ষেত্রে কর কমানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে জিএসটি কাউন্সিল।

পোশাকের উপর জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেড় হাজার টাকার মধ্যে দামের পোশাকে ৫ শতাংশ, ১০ হাজার টাকা দামের পোশাকের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি কথায়, কাশ্মীরের বিখ্যাত শালে যদি ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয় তবে শিল্প মার খাবে। শুধু কাশ্মীরীদের রুজিরুটি নয়, কাশ্মীরের একটি আন্তর্জাতিক পরিচয় এই শাল।

এয়ার টারবাইন ফুয়েল নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সবথেকে বেশি বিতর্ক হয়েছে। যে জ্বালানিতে বিমান চলে অর্থাৎ এটিএফ জিএসটির আওতায় নয়। কেন্দ্রীয় কর ও রাজ্যের ভ্যাট এই জ্বালানির উপর কার্যকর রয়েছে। কেন্দ্র এটিএফকে জিএসটির অধীনে নিয়ে আসতে চাইছে। শনিবারের বৈঠকে এই প্রস্তাবকে প্রতিরোধ করেছে প্রায় সব রাজ্য। রাজ্যগুলির আশঙ্কা, রাজ্যের আয় ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভ্যাট বাবদ যে আয় হয় সেটা রাজ্যের লাভ। জিএসটি হলে আয়, কেন্দ্র রাজ্যে বিভাজিত হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen