সার্কুলার জারি সত্ত্বেও দূরপাল্লার ট্রেনে মিলছে না বালিশ-কম্বল! ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

ট্রেনে সফরকালে বেডরোল ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেই কারণে বিগত প্রায় দু’বছর ধরে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে বিনামূল্যে বালিশ, কম্বল, চাদর দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। পরিবর্তে ট্রেনে কিংবা স্টেশন চত্বরে বেডরোল বিক্রি শুরু করেছিলেন রেলকর্মীরা।

March 14, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

রেল বোর্ডের সার্কুলার জারি হয়েছে গত ১০ মার্চ। কিন্তু সেই নির্দেশিকা জারির পর প্রায় তিন দিন কেটে গেলেও এখনও দূরপাল্লার বহু মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনামূল্যে মিলছে না বালিশ, কম্বল, চাদর। এই ইস্যুতে সামনে আসছে রেলের দিশাহারা অবস্থা। এমনই অভিযোগ করছেন ট্রেন যাত্রীদের একটি বড় অংশ। শুধুমাত্র সাধারণ মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনই নয়। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় উঠছে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের একাধিক রুটও। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একাংশের প্রশ্ন, যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায়, তাহলে কোভিড-পূর্ব সময়ের মতো অবিলম্বে বেডরোল সরবরাহ শুরু করার নির্দেশিকা দেওয়ার অর্থ কী? ট্রেনে সফরকালে বেডরোল ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেই কারণে বিগত প্রায় দু’বছর ধরে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে বিনামূল্যে বালিশ, কম্বল, চাদর দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। পরিবর্তে ট্রেনে কিংবা স্টেশন চত্বরে বেডরোল বিক্রি শুরু করেছিলেন রেলকর্মীরা।

পাশাপাশি যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে যদি কেউ কিনতে না চান, তাহলে বাড়ি থেকে নিজেরাই যেন এগুলি নিয়ে আসেন। রেল বোর্ড নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, ট্রেনে আবার আগের মতোই বেডরোল সরবরাহ শুরু হবে। এবং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে অবিলম্বে। আর এই প্রশ্নেই রেলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন ট্রেন যাত্রীরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, করোনা-পূর্ব সময়ের মতোই বেডরোল দেওয়া হবে জানতে পেরে অনেক যাত্রীই বাড়ি থেকে বালিশ, কম্বল কিংবা চাদর আনছেন না। কিন্তু ট্রেনে উঠে তা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁদের সেগুলি কিনে নিতে হচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে রেলের ভূমিকা কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। নিউদিল্লি-রাঁচি রাজধানী, পাটনা রাজধানীতে ইতিমধ্যেই যাত্রীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ। যাত্রীরা বলছেন, অনুসন্ধান কেন্দ্রে খোঁজ করলে জানানো হচ্ছে যে নির্দেশিকা মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা ট্রেনে উঠেই বেডরোল পাবেন। অথচ বাস্তব ছবিটা ওই দাবির সঙ্গে মিলছে না।

এই ব্যাপারে রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কে এস আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘সার্কুলার জারির পর এক রাতের মধ্যেই দেশের প্রত্যেক জোনের সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনে আগের মতো বেডরোল পরিষেবা চালু করে দেওয়া সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে রেল এই কাজ করবে। যত শীঘ্র সম্ভব, করোনা-পূর্ব সময়ের মতো সমস্ত ট্রেনে বিনামূল্যে বালিশ, কম্বল, চাদর সরবরাহ শুরু হবে।’ নির্দেশিকা জারি করে রেল দায় সারলেও তার বাস্তবায়নে জোনগুলিকে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen