‘৮৩-র মত নয়’,জেমি- হারমানদের সাফল্যের পরেও কেনও এমন বললেন গাভাসকর?

November 5, 2025 | < 1 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩৯:  ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে কিছু দিন আগেই এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে। হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ২০২৫ সালের বিশ্বকাপ জিতে যা অর্জন করল, তা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই জয়ের পর মহিলা ক্রিকেট ভারতে এমন এক উচ্চতায় পৌঁছল, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর মনে করেন, এই জয় অন্য দলগুলির আধিপত্যের যুগের অবসান ঘটাবে।

গাভাসকর আরও বলেন, “অনেকে এই জয়কে ১৯৮৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে পার্থক্য হল, তখন পুরুষ দল কখনও গ্রুপ পর্বের বাইরে যায়নি, কিন্তু এই মেয়েরা এর আগেই দুইবার ফাইনাল খেলেছে। তাই এই জয় তাদের অভিজ্ঞতা ও মানসিক শক্তির ফল।”

গাভাসকরের মতে, যেমন ১৯৮৩ সালের জয় ভারতীয় ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে নতুন কণ্ঠ দিয়েছিল, তেমনি এই জয় মহিলাদের ক্রিকেটে ভারতকে বিশ্বনেতৃত্বের আসনে পৌঁছে দিল। সেই সঙ্গে যেসব দেশ অনেক আগে থেকে মহিলা ক্রিকেটে এগিয়ে ছিল, তাদের বুঝিয়ে দিল ভারতের যুগ শুরু হয়েছে।

রবিবারের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ভারত তোলে ২৯৮/৭ রান। শাফালি ভার্মার দুরন্ত ৮৭ রানের ইনিংস এবং দীপ্তি শর্মার ঝোড়ো ৫৮ রানে ভারত তৈরি করে অপ্রতিরোধ্য স্কোর। দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট একাই লড়াই করলেও (১০১ রান), ভারতীয় স্পিন আক্রমণের সামনে ভেঙে পড়ে প্রতিপক্ষ।

শেষে দীপ্তির হাত ধরেই আসে ঐতিহাসিক জয়। আনন্দে চোখে জল নিয়ে মাঠে ঢোকেন মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামী। দর্শকাসনে বসে রোহিত শর্মাও নিজেকে সামলাতে পারেননি। স্টেডিয়ামের ভেতরের বিজয় উল্লাসে ভেসে গেল ভারত— এক নতুন সূর্যোদয়ের সাক্ষী রইল ভারতীয় ক্রিকেট।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen