ডবল ইঞ্জিন ওড়িশায় ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ABVP নেতা
১২ জুলাই গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ফকির মোহন কলেজের ছাত্রী। তাঁর দেহের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ১৪ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.১৫: ডবল ইঞ্জিন ওড়িশার বালেশ্বরে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন শুভ্র সম্বিত নায়েক ও জ্যোতি প্রকাশ বাওয়াল। সম্বিত বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র (ABVP) নেতা। জানা যাচ্ছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এই দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আদালতে তাদের পেশ করা হলে, ধৃতদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ফকির মোহন কলেজের ছাত্রী। তাঁর দেহের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ১৪ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর মৃত্যু হয়। তরুণীর অভিযোগ ছিল, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করা সত্ত্বেও পদক্ষেপ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্রিন্সিপাল ও অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, তরুণীর আত্মহত্যার বিষয়টি আগে থেকেই জানত সম্বিত ও জ্যোতি। মোবাইলে গোটা ঘটনার ভিডিও তুলেছিল তারা। সম্প্রতি তরুণীকে বঁচানোর চেষ্টার জন্য জ্যোতির ভূয়শী প্রশংসা করেছিল প্রশাসন। তদন্ত শুরু হতেই সত্যি প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, তরুণীর আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা আগে থেকেই সে জানত। তাই গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা মোবাইলে তুলে রাখে জ্যোতি। তরুণীকে বাঁচাতে নয়, জ্যোতি ভিডিও রেকর্ড করতে গিয়েই আহত হয়।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেডি। তাদের অভিযোগ, এবিভিপির চাপেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ওই তরুণী। বিজেডির অভিযোগ, ‘শুভ্র সম্বিত নায়েক এবিভিপির যুগ্ম রাজ্য সম্পাদক। ওর গ্রেপ্তারি, এই ঘটনায় গেরুয়া সংগঠনের জড়িত থাকার অন্যতম প্রমাণ। গ্রেপ্তার হওয়া আর একজন জ্যোতিও এবিভিপির সদস্য। ওই তরুণী এক বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।’