মহাষ্টমী তিথি, কী কী থাকে দেবী দুর্গার ভোগ-নৈবেদ্যে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: নৈবেদ্য হিসেবে নানা ধরনের ভোগ দেওয়ার বিধি রয়েছে। অন্নভোগে খিচুড়িই বেশি নিবেদন করতে দেখা যায়। রবিশালের বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গলে উল্লেখ রয়েছে, মা দুর্গা স্বয়ং ডাবের জল দিয়ে চালে-ডালে ফুটিয়ে মহাদেবকে খিচুড়ি রান্না করে দিয়েছিলেন। প্রথা মেনে বহু জায়গাতেই খিচুড়ি ভোগের চল আছে। অষ্টমীতে লুচি ভোগের চলও আছে।
সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ির পুজোয় অষ্টমীর ভোগ হিসেবে থাকে ভাত, শুক্তো, এঁচোড়, মোচা, মাছ। সন্ধিপুজোয় ভোগে থাকে খিচুড়ি ও ল্যাটামাছ। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের সন্ধিপুজোয় ল্যাটা মাছ পুড়িয়ে তা ভোগে দেওয়া হয়। সন্ধিপুজো শুরুর সময়ে শুকনো তালপাতা, নারকেল পাতার আগুনে মাটির সরায় খিচুড়ি রান্না হয়। খিচুড়ি হয়ে গেলে সেই আঁচেই ল্যাটা মাছ পোড়ানো হয়। সন্ধি পুজোয় এই খিচুড়ি ও ল্যাটা মাছ ভোগ দেওয়া হয় মাকে।
হুগলির ঘোষাল বাড়িতে সন্ধিপুজোয় তিন রকমের খিচুড়ি, পোলাও, পনির ও বক ফুলের বড়া ভোগ হিসাবে দেবীকে নিবেদন করা হয়। শিবকৃষ্ণ দাঁ-র বাড়িতে সন্ধিপুজোয় দেবী ও তাঁর সন্তানদের ১৬টি করে সব রকমের মিষ্টি দেওয়া হয়।
চালতাবাগানের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোয় হয় ভুনি খিচুড়ি। দাদা শরৎচন্দ্র বসুকে একবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোয়। তাঁর জন্যই তৈরি হয়েছিল এই ভুনি খিচুড়ি। গোবিন্দভোগ চাল ও মুগের ডাল দিয়ে তৈরি হয় এই খিচুড়ি।
কোথাও কোথাও অষ্টমীর দিন ঠাকুরকে অন্নভোগ বা ভাজা মিষ্টি দেওয়া হয় না। লুচি, আলু ফুলকপির বা আলু পটলের ডালনা নানারকম ভাজা দেওয়া হয়। এছাড়াও থাকে মিষ্টি, নাড়ু, ফল। অষ্টমীর দিন চালের চূড়া করে নানারকম ফল, মিষ্টি, মেওয়া দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে দেওয়া হয়। অষ্টমীর রাতে ঠাকুরকে দেওয়া হয় ক্ষীর।