দুর্গাপুজোয় এক লক্ষ কোটির বাণিজ্য! বিপুল অঙ্কের জোয়ার আসবে অর্থনীতিতে?

মমতা আমলে দুর্গাপুজো বাংলার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে স্বাবলম্বী করেছে, তা স্বীকার করছেন দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদরা।

August 3, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:১৯: উৎসব মানেই বাণিজ্য। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। পুষ্ট হয় অর্থনীতি। কোটি কোটি টাকার কেনাকাটা হয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ আয়ের পথ খুঁজে পান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুজো এখন পুরোদস্তুর উৎসব। পুজোকে ঘিরে বিদেশে বাংলার কাজ পৌঁছয়। বাংলা থেকেও কাজ আসে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরিচয় ছাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের রূপ পেয়েছে দুর্গাপুজো। কয়েক লক্ষ মানুষকে লাভবান করছে পুজো।

হাজার হাজার শিল্পী-শ্রমিক-কর্মচারী বাড়তি উপার্জনের মুখ দেখেন চারটে দিনকে ঘিরে। টেক্সটাইল শিল্প কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে। গত বছর পুজোকে ঘিরে ৮০ হাজার কোটির বেশি বাণিজ্য হয়েছিল। এবার তা ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা। বিপুল কেনাবেচার জেরে জিএসটি থেকে লাভবান হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আয় বাড়বে ৪ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি মানুষের। জেলার হস্তশিল্পীরা লাভবান হন। বাড়তি রোজগার করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দেড় কোটির বেশি শ্রমিক-নারী।

বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স, মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স, ফসমি, ভারত চেম্বার অফ কমার্স সহ বিভিন্ন বণিকসভা জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ঘোষণার পাশাপাশি পুজোয় নানা সুবিধা দেওয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ হাজারের বেশি পেশার মানুষ উপকৃত হন। বণিকসভাগুলির তথ্য বলছে, প্রতি বছরই নতুন করে পুজোকেন্দ্রিক নানা শিল্পে হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। মমতা আমলে দুর্গাপুজো বাংলার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে স্বাবলম্বী করেছে, তা স্বীকার করছেন দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদরা।

বণিকসভার মতে, মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর অনুদান বৃদ্ধির জেরে গ্রামীণ পুজোগুলি আরও বাজেট বাড়াবে, লাভবান হবে জেলার অর্থনীতি, গ্রামীণ ক্ষেত্রের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে গত দেড় দশকে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পর পাশাপাশি অসংগঠিত শ্রমিকদের সুবিধা দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নানা ঘোষণা প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের আয়বৃদ্ধির রাস্তা সুগম করেছে।

বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের কর্মসমিতির অন্যতম সদস্য ঋত্বিক দাস জানিয়েছেন, বাংলার দু-হাজারের বেশি কোম্পানি তাদের সদস্য। এর মধ্যে হাজারের বেশি সংস্থা ও তাদের শ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের জেরে সরাসরি পুজোর সময় বাড়তি রোজগার করেন। এই সংখ্যাটা দেড় লক্ষের বেশি। প্রায় ভারত চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি নরেশ পাচিশিয়ার কথায়, গ্রামাঞ্চলের পুজো কমিটিগুলি অনুদান পেয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen