ভোটার তালিকায় নেই বাবা-মায়ের নাম, SIR আতঙ্কে স্ট্রোকে মৃত্যু পিংলার যুবকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:২৫: ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকায় আতঙ্কে ভুগে মৃত্যু হল বছর চল্লিশের এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা বিধানসভার খড়্গপুর-২ ব্লকের দক্ষিণ ঢেকিয়া গ্রামে। মৃতের নাম বাবলু হেমব্রম (Bablu Hembram)। পরিবারের দাবি, এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার চাপ ও আতঙ্কই তাঁর মৃত্যুর কারণ। রাজ্যে এই নিয়ে এসআইআর আতঙ্কে ২৭ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (Voter list) বাবা-মায়ের নাম না থাকায় বাবলু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কয়েক দিন ধরে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করেননি, রাতে ঘুমোতেন না। সম্প্রতি ২০২৫ সালের সংশোধিত ভোটার ফর্ম (Voter form) হাতে পাওয়ার পর তাঁর উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। সোমবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের দিদি মনু টুডু জানান, ‘‘ভাইয়ের নাম নতুন তালিকায় ছিল। কিন্তু পুরনো তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকায় সে আতঙ্কে ভুগছিল।’’ গ্রামের বাসিন্দারাও বলেন, বাবলু অকারণে ভয় পাচ্ছিল, বোঝানোর চেষ্টা করলেও মানতে চাইছিল না।
ঘটনার খবর পেয়ে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বকে নিয়ে বাবলুর বাড়িতে যান। তিনি বলেন, ‘‘ভোটার তালিকা নিয়ে আতঙ্কে কারও মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবারের পাশে আছি আমরা।’’
এলাকার বিএলও (BLO) ভক্তি সাউ জানান, গত ৬ নভেম্বর এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) দিয়েছিলেন বাবলুকে। তিনি ফর্ম পূরণ করেছিলেন, কিন্তু কোথায় রেখেছেন মনে করতে পারছিলেন না। পরে জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বিএলও বলেন, ‘‘২০০২ সালের তালিকায় পরিবারের কারও নাম ছিল না। তাই তাঁকে বলেছিলাম নতুন তথ্য দিয়ে ফর্ম জমা দিতে। আপলোড করার পর হেয়ারিং হলে ডাকা হবে।’’
খড়্গপুর লোকাল থানার (Kharagpur Local PS) পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।