জাপানে মোদী: প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর স্টার্টআপেই ভবিষ্যৎ ভারত-জাপান সম্পর্ক

রাজধানী থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার দূরের শহর সেনদাই পর্যন্ত এই যাত্রার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

August 30, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০৭: জাপানে সফরের শেষ দিনে বুলেট ট্রেনে সেনদাই পৌঁছোলেন মোদী-ইশিবা, জোর ভারত-জাপান সেমিকন্ডাক্টর সহযোগিতায়।

জাপানে দু’দিনের সরকারি সফরের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা একসঙ্গে টোকিও থেকে সেনদাই পর্যন্ত বুলেট ট্রেনে যাত্রা করলেন। রাজধানী থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার দূরের শহর সেনদাই পর্যন্ত এই যাত্রার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

এই সফরে সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক্স খাতে সহযোগিতাকে ভারত-জাপান সম্পর্কের অন্যতম বড় ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরেন মোদী। তিনি টোকিও ইলেকট্রন নামক এক শীর্ষস্থানীয় জাপানি চিপস প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন। সেখানে ট্রেনিং রুম, প্রোডাকশন ইনোভেশন ল্যাব ঘুরে দেখেন এবং সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মোদীর কথায়, “সেমিকন্ডাক্টর খাত আগামী দিনের প্রযুক্তির মেরুদণ্ড। এই ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত অগ্রগতি করছে। অসংখ্য তরুণ এই খাতে যুক্ত হচ্ছেন। জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা আরও বড় সাফল্য অর্জন করতে চাই।”

এর আগে টোকিওতে জাপানের ১৬টি প্রিফেকচারের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, শুধুমাত্র দিল্লি-টোকিও স্তরে সীমাবদ্ধ না থেকে ভারতীয় রাজ্য ও জাপানি প্রিফেকচারের মধ্যে সরাসরি সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এ জন্য শুরু হয়েছে স্টেট-প্রিফেকচার পার্টনারশিপ ইনিশিয়েটিভ।

মোদী জানান, স্টার্টআপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি, উদ্যোগ, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, পর্যটন, নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিটি ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। জাপানের প্রযুক্তি ও ভারতের মেধা একসঙ্গে এলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাপানি গভর্নররাও একমত হন যে, এই ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতাই দুই দেশের ব্যবসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। ভারতীয় রাজ্যগুলিকে তাঁরা সরাসরি আমন্ত্রণ জানান যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগের জন্য।

ভারত-জাপান সম্পর্ক বরাবরই সভ্যতাগত ঐতিহ্যের বন্ধনে গড়ে উঠেছে। এবার সেই সম্পর্কের নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছে রাষ্ট্র-প্রিফেকচার অংশীদারিত্ব। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও যৌথ উদ্যোগে দুই দেশ ভবিষ্যতের দিশা দেখাতে প্রস্তুত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen