প্রজ্ঞাদীপা মৃত্যুকান্ড: লিভ-ইন পার্টনার আর্মি চিকিৎসক পুলিস হেফাজতে

গত সোমবার রাতে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ম্যান্ডেলা হাউসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বারাসত ১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ওই তরুণীর।

June 24, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
লিভ-ইন পার্টনার আর্মি চিকিৎসক পুলিস হেফাজতে

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ব্যারাকপুরের কাছে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে একটি ফ্ল্যাটে সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে লিভ-ইন করতেন প্রজ্ঞাদীপা হালদার। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় কৌশিকের বিরুদ্ধে। প্রজ্ঞাদীপার মা ঝর্না হালদার অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাঁর সঙ্গী।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে এবং প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের অভযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস কৌশিক সর্বাধিকারী নামে এক সেনা ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে। সাধারণত, এই ধরনের ঘটনায় অনেক আগেই সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ। কিন্তু এক্ষেত্রে কৌশিক সেনা বিভাগের একজন কর্মী হওয়ায় মিলিটারির অনুমতি না পেলে অগ্রসর হওয়া কঠিন হচ্ছিল পুলিশের পক্ষে।

গত সোমবার রাতে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ম্যান্ডেলা হাউসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বারাসত ১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ওই তরুণীর। ঘটনার পর ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর কথা বলে ব্যারাকপুর বেস হাসপাতালে (সেনা হাসপাতাল) ভর্তি হয়ে যান কৌশিক। শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এদিন হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। ওই অবস্থায় ক্যান্টনমেন্ট চত্বরের একটি পুকুরপাড় থেকে পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক স্বাতী মৌলিক ছ’দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে বুধবার উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। জানা গেছে, ব্যারাকপুরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এক সেনা কর্তার সঙ্গে লিভ ইন করতেন প্রজ্ঞাদীপা।


প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞাদীপার প্রথম বিয়ে সুখের হয়নি। সেখানে গার্হস্থ্য নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর সেই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে দ্বিতীয় এই সম্পর্কেও প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার হতে হতো এই চিকিৎসককে, অভিযোগ তাঁর পরিজনদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen