কাদা খেলার মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হল ময়নাগুড়ির বসুনিয়া বাড়িতে

হঠাৎ করেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। রাজা চাপগড় পরগনায় চিলারায়ের গড়ে আসেন। ওই এলাকার ধনবর বসুনিয়া রাজদরবারে হিসেবরক্ষকের কাজ করতেন।

August 28, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আমগুড়ির বসুনিয়া বাড়ির দুর্গাপুজো এবছর ২১৪ বছরে পা দিচ্ছে। দেবীদুর্গা ঘরের মেয়ে হিসাবে পূজিতা হন এখানে। মঙ্গলবার কাদা খেলার মধ্যে দিয়ে ময়নাগুড়ির বসুনিয়া বাড়িতে শুরু হল দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। কাদার খেলার মাটি দিয়েই তৈরি হবে দুর্গা প্রতিমা। প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, ১৮১০ সালে কোচবিহারের রাজা প্রাণ নারায়ণ রংপুর থেকে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে কোচবিহার যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। রাজা চাপগড় পরগনায় চিলারায়ের গড়ে আসেন। ওই এলাকার ধনবর বসুনিয়া রাজদরবারে হিসেবরক্ষকের কাজ করতেন।

ধনবর বসুনিয়া রাজাকে তাঁর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। রাজা তাঁর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন। ধনবর বসুনিয়ার বাড়িতে রাজা দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে আসেন। সেখানেই হয় পুজো। রাজদরবারে ঘটপুজো হয়েছিল। তখন থেকেই আমগুড়ির বসুনিয়া বাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। এই প্রতিমার গঠন একেবারেই আলাদা। প্রতিমার মুখে থাকে মঙ্গলীয় জনজাতির ছাপ। দেবীর সাজসজ্জা মঙ্গলীয় জনজাতির আদলে। পুজো ঘিরে সমগ্র আমগুড়িবাসী পুজোর দিনগুলিতে আনন্দে মাতেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর লোকজনের আসে বসুনিয়া বাড়িতে।

মঙ্গলবার কাদা খেলা চলল বসুনিয়া বাড়ির স্থায়ী মণ্ডপের সামনে। কচিকাঁচারা এই খেলায় অংশগ্রহণ করে। কাদা খেলার মাটি দিয়েই এখানে দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হল। নবমীর দিন এখানে মাত্রাপুজো করি। ফলের সঙ্গে লাঙল পুজো করা হয়। পরবর্তীতে সেই লাঙল দিয়ে জমিতে আড়াই পাক কর্ষণ করা হয়। সেদিন থেকেই রবিশস্যের সূচনা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen