এবিভিপির দাদাগিরি, গুজরাতে অধ্যক্ষকে পড়ুয়ার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করল ছাত্রনেতা
আমেদাবাদের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজের এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষামহল।

গুজরাতে গেরুয়া সংগঠনের ছাত্র নেতার বেনজির দাদাগিরি! ছাত্রীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হল অধ্যক্ষকে। আমেদাবাদের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজের এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষামহল। অভিযোগের তীর স্থানীয় এক এবিভিপি নেতার দিকে। তিনি কলেজের অধ্যক্ষকে ছাত্রীর পায়ে ধরতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। চাপে পড়ে অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করেছে এবিভিপি। অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে তারা। তবে এতেও থামছে না বিতর্ক। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। ওইদিন দলবল নিয়ে অধ্যক্ষ মণিকা স্বামীর ঘরে চড়াও হন এসএএল ডিপ্লোমা কলেজের এবিভিপি নেতা অক্ষত জয়সওয়াল। এক ছাত্রীর হাজিরা কম নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উত্তপ্ত বচসার পর অক্ষতের নির্দেশে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইছেন অধ্যক্ষ মণিকা।
কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এনএসইউআই-এর জাতীয় আহ্বায়ক ভবিক সোলাঙ্কি বলেন, ‘এবিভিপি কর্মীর আচরণ লজ্জাজনক। কীভাবে এবিভিপি শিক্ষাঙ্গনে গুণ্ডামি করছে, এই ঘটনা তারই একটা নমুনা।’ সমাজের সর্বস্তরে প্রতিবাদের সুর জোরাল হওয়ার পর শুক্রবার এবিভিপির পক্ষ থেকে জয়সওয়ালের আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এবিভিপি শিক্ষক ও ছাত্রের পবিত্র সম্পর্কে বিশ্বাস করে। এই ঘটনা সমর্থন করে না। অক্ষতকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, ‘অক্ষত জয়সওয়াল আগেও কলেজ চত্বরে এই রকম আচরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার আমাকে ওই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। শুক্রবার এবিভিপি নেতারা আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন।’