সাবালিকাকে ধর্ষণের শাস্তি ন্যূনতম ২০ বছর জেল অথবা আমৃত্যু কারাবাস, মৃত্যুদণ্ড নয়, উল্লেখ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠিতে

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে রবিবার দীর্ঘ চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল ধর্ষণ অথবা নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠোরতম আইন ইতিমধ্যেই রয়েছে।

August 27, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন নিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন। রবিবার জলগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কঠোর আইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে রবিবার দীর্ঘ চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল ধর্ষণ অথবা নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠোরতম আইন ইতিমধ্যেই রয়েছে। ২০২৪ সালের পয়লা জুলাই থেকে সেই আইন চালু হয়েছে।

ধর্ষণের অপরাধের পর বিচারবিভাগীয় প্রক্তিয়া শেষে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে, কী কী হতে পারে সর্বোচ্চ শাস্তি, তার বিস্তারিত তালিকাও চিঠিতে দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের দেওয়া সেই ন্যায় সংহিতার তালিকায় সাবালিকাকে ধর্ষণের শাস্তি ন্যূনতম ২০ বছর জেল অথবা আমৃত্যু কারাবাস। এছাড়া নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হলে সাজা ২০ বছরের কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড।

আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন দেশজুড়ে যেভাবে ধর্ষণ একটি সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে, তাতে কেন্দ্র একটি কঠোর আইন নিয়ে আসুক। অপরাধীদের যাতে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও প্রস্তাব ছিল, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে আরও বেশি করে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত স্থাপন করা হোক। অভিযুক্তের অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি পর্ব সমাপ্ত করে তার শাস্তির ব্যবস্থা হোক।

এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হলেও, মোদী নিজে উত্তর দেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যকে কিছুটা বিদ্ধ করেছেন। একঝাঁক তথ্য দিয়ে তিনি বলেছেন, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট মঞ্জুর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এখনও পর্যন্ত ৬টি চালু হয়েছে। এই চিঠিতেই কেন্দ্র নিজেদের সদ্য তৈরি নয়া আ‌ইনের তালিকা দিয়ে বলেছে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হলে ন্যূনতম ২০ বছরের জেলের ব্যবস্থা রয়েছে (ন্যায় সংহিতার ৬৫ নং ধারা)। নাবালিকার গণধর্ষণ হলে এমনকী মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। কিন্তু সাবালিকা? সেখানে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে আমৃত্যু কারাবাস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen