কামারপুকুরের লাহাবাড়ির দুর্গা প্রতিমার চোখ এঁকেছিলেন রামকৃষ্ণ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৫০: হুগলির কামারপুকুরের লাহাবাড়ির পুজো শতাব্দী প্রাচীন। লাহা পরিবারের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণের ছোটবেলা। একদা কোন কারণে ঠাকুর রঙ করার কারিগর না আসায় ছোট্ট রামকৃষ্ণ লাহা বাড়ির মা দুর্গার চোখ এঁকে দিয়েছিলেন।
জমিজমা সংক্রান্ত আইনি বিবাদে জড়িয়ে পড়ে মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন ধর্মদাস লাহা। গ্রামের মেঠোপথ ধরে মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে তিনি চুঁচুড়া আদালতে যাচ্ছিলেন। পথে ক্লান্ত হয়ে গাছের নীচে বিশ্রাম নেন। সেই সময়ে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে মা তাঁকে বলেন, মামলায় জয়ী হবি তুই, বাড়ি গিয়ে আমার পুজো শুরু করিস। খানাকুল থেকে দুইজন পটুয়া যাচ্ছে।
স্বপ্ন সত্যি হয়। মামলায় জিতে মায়ের স্বপ্নাদেশের কথা ভুলে যান ধর্মদাস। কিন্তু বাড়ি ফিরে চমকে যান তিনি। দেখেন খানাকুল থেকে দুই প্রতিমাশিল্পী হাজির। পটুয়ারা ধর্মদাসকে জানান, একটি মেয়ে এসে তাঁদের দুর্গা প্রতিমা গড়ার কথা বলে গিয়েছেন। তাই তাঁরা এসেছেন বলে জানান। সেই থেকে লাহাবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু। তারপর পুজো চলে ১১২৭ থেকে ১১৮২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত। বর্তমানে সেখানে মায়ের মন্দির অবস্থিত। যা ১২০২ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মহালয়ার পরের দিন থেকে এখানে যাত্রাপালা শুরু হয়। মঞ্চ রয়েছে। দুর্গা নাকি যাত্রা শুনতে ভালোবাসতেন। সেই রীতি মেনে এখনও বংশ পরম্পরায় যাত্রাপালার আসর বসে। মহালয়ার দিন থেকে আট দিনব্যাপী যাত্রাপালা হয়। যাত্রাশিল্পীরা বলেন, মা দুর্গার কাছে প্রথম যাত্রাপালার অনুষ্ঠান করেন। তা হলে সারা বছর তাঁদের খুব ভালো ভাবে কাটে। নবমীর দিন এখানে কুমারীপুজো হয়।